বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
খোঁজ মিলেছে ২০০৫ সালে খোলা অ্যাকাউন্টের

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে জমা পাঁচ লাখ ডলার

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

যুক্তরাষ্ট্রের একটি ব্যাংকে ২০০৫ সালে খোলা একটি অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেটিতে কয়েক লাখ ডলার জমা পড়ে আছে। ব্যাংকটি চিঠি দিয়ে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানিয়েছে, হিসাবটিতে বহুদিন যাবৎ কোনো লেনদেন না থাকায় স্থানীয় আইন অনুযায়ী এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি ঘোষণা করা হবে এবং হিসাবের স্থিতি সংশ্লিষ্ট অঙ্গরাজ্যে স্থানান্তর করা হবে। ওই চিঠির পর এখন সরকারের মধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়েছে সেই অর্থ দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে। অন্যথায় বাংলাদেশের অর্থ পরিত্যক্ত হওয়ার  আশঙ্কা রয়েছে। দূতাবাস ধারণা করছে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকটিতে যে অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গেছে সেটি পিএল-৪৮০-এর জন্য খোলা হয়েছিল। সংশ্লিষ্টরা জানান, পিএল-৪৮০ (পাবলিক ল) হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইন, যার মাধ্যমে দেশটি বিভিন্ন শর্তাধীনে বিদেশি রাষ্ট্রকে খাদ্যসহায়তা দেয়। বাংলাদেশও এ আইনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে খাদ্যসহায়তা পেয়ে থাকে। তবে ওই খাদ্য পরিবহনসহ অন্যান্য ব্যয় মেটাতে হয় গ্রহীতা দেশকে। ২০০৫ সালে সে কারণেই এ হিসাবটি খোলা হয়ে থাকতে পারে। ওয়াশিংটনস্থ সিটি ব্যাংক এনএ সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসকে সম্প্রতি পাঠানো চিঠিতে জানায়, তাদের বিজনেস আইএমএমএ হিসাবে (অ্যাকাউন্ট নম্বর ১৫২৮৩৩১) মোট ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৯৭৮ ডলার জমা আছে। বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক এ হিসাবটি খোলা হয়েছে ২০০৫ সালের ১১ আগস্ট। রাষ্ট্রদূত, ইকোনমিক মিনিস্টার ও হেড অব চেনসারি ওই হিসাবের সিগনেটারি। ব্যাংকটি জানিয়েছে, দীর্ঘদিন অ্যাকাউন্টে কোনো ধরনের লেনদেন না হওয়ায় ইতিমধ্যে এটি ইনেকটিভ হিসাবের তালিকায় চলে গেছে। এ অবস্থায় হিসাবটি বাঁচাতে সিটি ব্যাংক এনএ দূতাবাসকে পরামর্শ দিয়েছে যাতে নিকটস্থ সিটি ব্যাংকের শাখা থেকে অ্যাকাউন্টটি ইনেকটিভ স্ট্যাটাস থেকে অপসারণ করে দ্রুত লেনদেন শুরু করে। অন্যথায় স্থানীয় আইন অনুযায়ী অ্যাকাউন্টটি বাতিল করে জমাকৃত অর্থ অঙ্গরাজ্যের কোষাগারে জমা করে দেবে ব্যাংকটি। ওয়াশিংটনস্থ দূতাবাস পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানতে এরই মধ্যে বিষয়টি তাদের চ্যানেলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছে। এরপর সিটি ব্যাংকে পাওয়া অ্যাকাউন্টের বিষয়ে গত ২৬ আগস্ট একটি সভা করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ওয়াশিংটনস্থ সিটি ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট আছে। খোঁজ পাওয়া অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই হিসাবে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে; যাতে তারা এটি বাজেয়াপ্ত করতে না পারে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর