বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইভিএমে ডিসেম্বরে ঢাকা সিটির ভোট

মার্চে চট্টগ্রাম রংপুর উপনির্বাচনও ইভিএমে

গোলাম রাব্বানী

ইভিএমে ডিসেম্বরে ঢাকা সিটির ভোট

আগামী ডিসেম্বরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে (ইভিএম) ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। এর পরে মার্চে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে। সেই সঙ্গে আগামী ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহার করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশন জানিয়েছে, ঢাকা সিটিসহ আগামীতে সব নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন- ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ঢাকার দুই সিটিতে ভোট করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২৬, ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর প্রাথমিক তারিখ চিন্তা করা হচ্ছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোট হলে ১৭ নভেম্বরের পরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আর মার্চে হবে চট্টগ্রাম সিটির ভোটগ্রহণ। কোনো কারণে ডিসেম্বরে ঢাকার দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ সম্ভব না হলে মার্চে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে একই দিনে ভোট করবে কমিশন। এক্ষেত্রে মার্চে ভোট করতে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে তফসিল দেওয়ার প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন- ডিসেম্বর না মার্চে ভোট তা সরকারের ওপর নির্ভর করছে। ইসি ভোটের প্রস্তুতি রাখছে, সরকারের সবুজ সংকেত পেলেই ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারণ করবে।

ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোট অনুষ্ঠানে ইসির প্রস্তুতির পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও চলছে নানা আলোচনা। মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে আলাপ হচ্ছে আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে। তবে সরকারের গ্রিন সিগন্যাল পেলেই তিন সিটির ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারণ করবে কমিশন, ঘোষণা করবে নির্বাচনের তফসিল। এ ছাড়া তিন সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল একই দিনে ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটির ভোট হয়েছিল। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন আগে যে কোনো সময় ভোট করতে হবে। সেই হিসেবে ঢাকা উত্তরের মেয়াদ হবে আগামী বছরের (২০২০ সালের) ১৩ মে পর্যন্ত; আর দক্ষিণে ১৬ মে পর্যন্ত। চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদ শেষ হবে (২০২০ সালের) জুলাইয়ে। আর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ নির্বাচনের উপযোগী হচ্ছে চলতি বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝিতে এবং চট্টগ্রাম নির্বাচনের উপযোগী হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে।  ইসির শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন- ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ঢাকার দুই সিটিতে ভোট করতে হলে ১৭ নভেম্বর বা এর পরে ইসিকে নির্বাচনের তফসিল দিতে হবে। এক্ষেত্রে ভোট অনুষ্ঠানের জন্য কমিশন ৩৮ থেকে ৪২ দিন সময় পাবে। সূত্র জানিয়েছে, ২৬, ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটিতে ভোট করার চিন্তাও রয়েছে ইসির। এক্ষেত্রে ৪২/৪৩ দিন হাতে রেখেও কমিশন ১৭ নভেম্বরের মধ্যে তফসিল দিতে পারবে। ডিসেম্বরে ভোট হলে পুরনো ভোটার তালিকা দিয়ে যাতে ভোট করা যায় সেই প্রস্তুতি রাখছে ইসি। আর মার্চে ভোট করতে হলে নতুন ভোটার তালিকা দিয়ে ভোট হবে বলে জানিয়েছেন ইসির কর্মকর্তারা। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করার জন্য এখনো পর্যাপ্ত সময় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতে রয়েছে। এ বিষয়ে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তিনি বলেন, রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও মক ভোটিং করা হবে। এর আগেও রংপুর সিটিতে ইভিএমে ভোট হয়েছে।

রংপুর উপনির্বাচনেও ইভিএম : জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আসন রংপুর-৩ এ আগামী ৫ অক্টোবর ভোটগ্রহণের দিন রেখে উপনির্বাচনের তফসিল দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ আসনে ভোট হবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এ উপনির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ১১ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ সেপ্টেম্বর। একাদশ সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা এরশাদ ৯০ বছর বয়সে গত ১৪ জুলাই মারা যান। তার মৃত্যুতে রংপুর-৩ আসন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর