বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধির মধ্যমণি বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধির মধ্যমণি বাংলাদেশ

ড. আতিউর রহমান

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মধ্যমণি বলে মনে করেন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের (বিবিআইএন) যৌথ উদ্যোগে মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্ট বা এমভিএ চুক্তি কার্যকর হলে, আঞ্চলিক বাণিজ্য সুবিধা অনেক বাড়বে। আর মোটরযান চলাচল চুক্তি কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে ভারতের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি তিন গুণ বাড়বে। গতকাল রাজধানীর বনানীতে হোটেল গোল্ডেন তুলিপে ‘বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল বা বিবিআইএনে উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ এবং বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী পর্ব শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। ভারত ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাটস ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় দিনব্যাপী সেমিনারের আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয়। সেমিনারের বিভিন্ন অধিবেশনে বক্তব্য দেন- বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা সেলিমা আহমাদ এমপি, ক্যাটস ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক বিপুল চ্যাটার্জি, সাবেক অ্যাম্বাসেডর হুমায়ুন কবির, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি’র বিশেষ ফেলো ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান, অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদসহ বিবিআইএন ভুক্ত দেশগুলোর অংশীজনরা। ড. আতিউর রহমান বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়লে, ভারতে বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি তিনগুণ বাড়বে। এ জন্য প্রথম বাধা অবকাঠামো। স্থলবন্দরের সুবিধা বাড়াতে হবে। বেনাপোলে প্রত্যাশিত অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারিনি। সীমান্ত হাটে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ বাড়ছে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সুবিধা গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির মাঝখানে অবস্থানে আছে। প্রবৃদ্ধিতে আমরা এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ভালো করছি। এটা ধরে রাখতে বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। এ জন্য অশুল্কবাধা ও অবকাঠামো সংকট কাটাতে হবে। তার মতে-পুরো এশিয়ায় প্রবৃদ্ধিতে গতিময় বাংলাদেশ। আমাদের পণ্যের চাহিদা আশপাশের দেশেও আছে। ক্যাটস ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক বিপুল চ্যাটার্জি বলেন, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল এই চার দেশে বাণিজ্য আগের চেয়ে অনেক বাড়ছে। কিন্তু প্রত্যাশিত যোগাযোগ বাড়েনি। যোগাযোগ বাড়াতে ২০১৫ সালে বিবিআইএন গঠিত হয়। আশা করছি- আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মধ্যে মোটরযান চলাচল চুক্তি কার্যকর হবে। পরবর্তীতে ভুটানও যোগ হবে। এটা কার্যকর হলে বাণিজ্য বাড়বে, খরচ কমবে। দেশগুলোর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বাড়বে। সাবেক অ্যাম্বাসেডর হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশ মুক্ত আঞ্চলিকতায় বিশ্বাসী। বাংলাদেশই প্রথম ভারতকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে। এখন অংশীজনদের আলোচনার মাধ্যমে বিবিআইএন কার্যকর হতে পারে। এ আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নীতি উন্মুুক্ত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর