সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি

বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে ফের ‘প্যাকেজ’ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি। দলটি আবারও বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া ঢাকাসহ সারা দেশে দুই দিনের মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করবে। গতকাল সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা দেশনেত্রীর মুক্তির দাবির পক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরে এবং ১২ সেপ্টেম্বর সারা দেশে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করছি। এর পরে আমাদের অঙ্গসংগঠনগুলো এ ধরনের মানববন্ধন ও সমাবেশের নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে আসবে। আবারও বিভাগীয় শহরে আমরা সমাবেশ করব। বেগম জিয়ার মুক্তি দাবিতে ২৬ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহে এবং ২৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে সমাবেশ হবে। সিলেটে ২১  সেপ্টেম্বর সমাবেশ করার সম্ভাবনা আছে। পর্যায়ক্রমে রংপুরেও সমাবেশ হবে।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারকে বলতে চাই, অবিলম্বে আইনগতভাবে প্রাপ্য যে জামিন, সেই জামিনে মুক্তি দেওয়া হোক। অন্যথায় বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের যে কোনো অবনতি, যে কোনো পরিণতির জন্য সম্পূর্ণভাবে এই অনির্বাচিত সরকারই দায়ী থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়ার জন্য প্যারোলে মুক্তির আবেদন করবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা আপনারা (সাংবাদিক) বহুবার জিজ্ঞাসা করেছেন। প্যারোল চাওয়ার অধিকার তো আমাদের নেই। প্যারোল চাইতে পারেন চেয়ারপারসন নিজে। উনি তো চাননি এখন পর্যন্ত। বলেছেন, আমি প্যারোল চাচ্ছি না। ভবিষ্যতে চাইবেন কিনা আমরা বলতে পারব না।’ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘বেগম জিয়ার জামিন পেতে আমরা চেষ্টা করে ?যাচ্ছি আন্তরিকভাবেই। কিন্তু পদে পদে বাধা, রাজনৈতিক প্রভাব। তার স্বাস্থ্যগত কারণে আমরা আবার চেষ্টা করব জামিনের জন্য। পৃথিবীর সব সরকারের একটা মানবিক দিক থাকে। এ সরকারের কোনো মানবিক দিক  নেই। যার কারণে বেগম খালেদা জিয়ার এই করুণ অবস্থা। সরকার যদি ইচ্ছা করে এ অবস্থা থেকে তাকে বাঁচানোর ব্যবস্থা করতে পারে, তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে এবং তাকে একটি ভালো বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে। তাহলে আমি মনে করি, বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে উঠবেন।’ অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন এখন দুজনের সাহায্য ছাড়া বিছানা থেকে ওঠা এবং বাথরুম পর্যন্ত যাওয়া-আসা করতে পারছেন না। রুঢ় বাস্তবতা হচ্ছে, আজকে একজন রোগী হিসেবে দেশনেত্রীর ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করার ব্যাপারে চিকিৎসকরা যে পরামর্শ দিচ্ছেন সত্যিকার অর্থে হাসপাতালের সরকারি প্রশাসন সেদিকে নজর দিচ্ছে না। এই নজর না দিয়ে তাকে চিকিৎসাহীন রেখে দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর