মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদন

ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প ঋণের খসড়া নীতিমালা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ এবং অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসএমই নীতিমালা-২০১৯ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, এসএমই খাতের জন্য ২০০৫ সালে একটি কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছিল। আর এই প্রথম নীতিমালা হলো। এই নীতিমালা ২০১৯-২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তিনি জানান, জাতীয় শিল্পনীতির আলোকে এই নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। এই খাতে প্রায় ৭৮ লাখ অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে। জিডিপিতে এই খাতের অবদান প্রায় ২৫ শতাংশ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ছয়টি উদ্দেশ্য সামনে রেখে এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য এই নীতিমালা করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- অর্থ প্রাপ্তির সুযোগ, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সুযোগ, বাজারে প্রবেশের সুযোগ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ, ব্যবসায় সহযোগিতা এবং তথ্যের সুযোগ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা। তিনি জানান, কৌশলগত অর্থায়ন সুবিধা প্রাপ্তিতে এসএমই খাতের সুযোগ বৃদ্ধি করা, এসএমই খাতের ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধি করা, অর্থায়নের ব্যবস্থা করা। এসএমই ক্রেডিট গ্যারান্টি ফান্ড চালু করা। এই ফান্ড চালু হলে মর্টগেজ থাকবে না, অর্থ প্রাপ্তি সহজ হবে। সহজ শর্ত ও স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের কথা বলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে নীতিমালায় ই-কমার্স, অনলাইন সাপোর্ট, আউটসোর্সিং ও আইটিভিত্তিক এপ্লিকেশনের মাধ্যমে এসএমইদের সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, নীতি-কৌশল বাস্তবায়নের জন্য দুই ধরনের পর্ষদ থাকবে। শিল্পমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৩৭ জনের পর্ষদে প্রতিমন্ত্রী সহসভাপতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বেসরকারি খাতের পাঁচজন প্রতিনিধি থাকবেন। আর সচিবের নেতৃত্বে পর্ষদে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২৯ জন সদস্য থাকবেন। মন্ত্রিসভা বৈঠকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন আইন, ২০১৯ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এই আইন সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রস্তাবিত আইনের খুব বেশি পরিবর্তন নেই। যে পরিবর্তনগুলো আনা হয়েছে তার মধ্যে অনুমোদিত মূলধন আগে ছিল মাত্র ৫ কোটি টাকা, পেইড আপ ক্যাপিটাল সম্পর্কে বলা হয়েছে সরকার কর্তৃক সময় সময় যা  জোগান দেওয়া হবে তা। এখন সেটি বাড়তে বাড়তে ৪৫ কোটিতে  এসে ঠেকেছে। এখন বলা হচ্ছে, করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন হবে ৫০০ কোটি টাকা এবং পেইড আপ ক্যাপিটালের ব্যাপারে বলা আছে সরকার জোগান দিয়ে ৫০০ কোটি টাকা উন্নীত করবে। এদিকে মন্ত্রিসভা প্রতি বছর ৪ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটি উদযাপনের জন্য নেওয়া প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। এ ছাড়া বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নঈম চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে মন্ত্রিসভা। সভার শুরুতে একটি শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

সর্বশেষ খবর