শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

আফিফ ঝড়ে জয়ে ফিরল বাংলাদেশ

মেজবাহ্-উল-হক

আফিফ ঝড়ে জয়ে ফিরল বাংলাদেশ

মাত্র ৬০ রানেই সেরা ৬ ব্যাটসম্যান নেই! জয়ের জন্য তখন বাংলাদেশের দরকার ছিল ৫১ বলে ৮৪ রান। হাতে মাত্র ৪ উইকেট। সব লেজের ব্যাটসম্যান! এমন অবস্থার পরও বাংলাদেশকে দারুণ এক জয় এনে দিয়েছেন তরুণ তারকা আফিফ হোসেন ধ্রুব। জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে দারুণ সূচনা করল বাংলাদেশ। আফিফ মাত্র ২৬ বলে খেলেন ৫২ রানের সাইক্লোন ইনিংস। ৮টি বাউন্ডারি ও এক ছক্কা। সপ্তম উইকেটে আফিফকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। তাদের জুটিতে এসেছিল ৮২ রান। জিম্বাবুয়ের 

দেওয়া ১৪৫ রানের টার্গেটে বাংলাদেশ পৌঁছে ২ বল হাতে রেখেই। বৃষ্টির কারণে কাল খেলা নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পরে শুরু হওয়ায় উভয় ইনিংস থেকে দুই ওভার করে কাটা হয়েছিল। ১৮ ওভারের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান করে জিম্বাবুয়ে। মাত্র ৩২ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন রায়ান বার্ল। ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও জিম্বাবুয়ে বড় সংগ্রহ পায়। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মুতোম্বজিকে সঙ্গে নিয়ে ৮১ রান করেন বার্ল। জিম্বাবুয়ে শেষ ৫ ওভারে করেছে ৬৮ রান। বার্লের ঝড় সবচেয়ে বেশি সহ্য করতে হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। দলীয় ১৬তম ওভারে ৩০ রান দিয়েছেন টাইগার দলপতি। ওই ওভারে ৩টি করে ছক্কা ও চার হাঁকান বার্ল। উইকেট স্যাঁতসেঁতে থাকলেও কাল জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সাকিব স্পিন দিয়ে আক্রমণ শুরু করেন। তবে একমাত্র মোসাদ্দেক ছাড়া আর কোনো স্পিনার সুবিধা করতে পারেননি। সাকিব তার ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৯ রান। ব্যাটিং ক্যারিশমাও দেখিয়েছেন মোসাদ্দেক। খেলেছেন ৩০ রানের হার না মানা ইনিংস। তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন আফিফই। দীর্ঘ ৯ মাস পর ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ফিরেছে ক্রিকেট। তাই বৃষ্টিস্নাত দিনেও গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। এমন দিনে লজ্জাও পেতে হলো আয়োজকদের। কেননা ম্যাচের ১৭তম ওভারে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় মাঠের সবকটি ফ্লাড লাইট। ৫ মিনিট পুরো স্টেডিয়াম ছিল অন্ধকার। এ জন্য ১০ মিনিট খেলাও বন্ধ ছিল। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ কাক্সিক্ষত জয় পাওয়ায় হয়তো এমন ছোটখাটো ভুলের দিকে কারও দৃষ্টি যাবে না! সত্যিই কি তাই!

সর্বশেষ খবর