সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
এখনো বিতর্ক ছাত্রলীগ নিয়ে

জাহাঙ্গীরনগর মেগা প্রকল্পের দুর্নীতির খবরেই তোলপাড়

জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ১৪০০ কোটি টাকার মেগা প্রজেক্টকে কেন্দ্র করে উপাচার্যের কাছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদ্যসাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের চাঁদা চাওয়া এবং এ নিয়ে সংগঠনের পদ থেকে তাদের অপসারণের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড়

চলছে। গতকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশে আইন বিভাগের ছাত্র খান মুনতাসির আরমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাগত দুজন ছাত্র উপাচার্যের কাছে চাঁদা দাবি করেছেন। অথচ তিনি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেননি। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তাদের বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শোভন-রাব্বানী এবং শাখা ছাত্রলীগের একেক সময় একেক রকমের বক্তব্যে এটা নিশ্চিত যে এখানে দুর্নীতি হয়েছে।’ উপাচার্য ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ দাবি করেছেন উপাচার্যবিরোধী ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্যকে ‘অর্থলোলুপ’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। ২৩ আগস্ট ‘উন্নয়ন প্রকল্পের ২ কোটি টাকা ছাত্রলীগের পকেটে’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বাংলাদেশ প্রতিদিনে। ঈদুল আজহার আগে ৯ আগস্ট এ টাকা দেন উপাচার্য। বাংলাদেশ প্রতিদিনের খবরের পর ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দাবি তিনটি হলো- গাছ না কেটে আবাসিক হল নির্মাণ, উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্টেকহোল্ডারের মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন। টানা দুই সপ্তাহ আন্দোলনের পর গত বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীদের প্রথম এবং তৃতীয় দাবি মেনে নেন উপাচার্য। দ্বিতীয় দাবি অর্থাৎ বিচার বিভাগীয় তদন্তের বিষয়ে আগামী বুধবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর