আগের চেয়ে অনেক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রসঙ্গ টেনে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের দেওয়া ক্ষমতার প্রয়োগ দেখতে চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ‘বাংলাদেশ             ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের’ তৃতীয় বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কথা বলেন তিনি। সিইসি জানান, এক সময় উপজেলা নির্বাচন অফিস ছিল না। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সম্বল ছিল একটি ব্যাগ আর যাতায়াতের বাহন ছিল রিকশা। এখন সেই অবস্থা নেই। ইসি সচিবালয় ও মাঠ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কে এম নূরুল হুদা বলেন, আপনাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ক্ষমতাও দেওয়া হয়, ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। আমরা যদি নিজেরা শক্তিশালী না হই তাহলে কী হবে? ভোটের দায়িত্বে নিজেদের যোগ্যতা বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি। সিইসি বলেনÑআমরা এখন স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে বাইরের কাউকে দায়িত্ব দেই না। আগামীতে সব ধরনের নির্বাচনের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আপনাদের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সেটা কতদিনে হবে জানি না। আপনারা ধীরে ধীরে নিজেদের যোগ্য করে তুলুন। রোহিঙ্গা ভোটারের বিষয়ে সচেতন থাকার নির্দেশ দেন সিইসি। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ধরে রাখার নির্দেশনা দিয়ে সিইসি জানান, মানুষ লোভে পড়ে অনেক কিছু করে ফেলে। সাংবিধানিক সংস্থা মানে এই না যা খুশি তাই করে  ফেলবেন। দুয়েকজনের কর্মকান্ডের জন্য অনেক সময় কমিশনকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে। সবাইকে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে। সবাই ভালো কাজ করলে  সেটারও প্রশংসা হয়। এ সময় নির্বাচন কমিশনার  মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত  হোসেন চৌধুরী, ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।