বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা, টাকা পাচার, রিজার্ভ চুরি, দুর্নীতি, ক্যাসিনো, পানি- জলবায়ু সমস্যাসহ দেশ ও সমাজের ভয়াবহ সব সংকট নিরসনে চাই সাংস্কৃতিক জাগরণ। তরুণদের উদ্বুদ্ধ করে ব্যাপক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজ-বদল ঘটাতে হবে। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদ এর আয়োজন করে। বক্তব্যে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে নানা সংকট এতটা ঘনীভূত হতে পারত না। আতাউস সামাদের মতো নির্ভীক ও নিবেদিতপ্রাণ প্রত্যয়ী সাংবাদিক বেঁচে থাকলে এমন দুঃসময়ে সাহস করে সত্য তুলে ধরতেন। সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে রোহিঙ্গা সমস্যা, এনআরসি সমস্যা আরও বড় আকারে তুলে ধরতে পারতেন। এগুলো দ্বিপক্ষীয় সমস্যা নয়। এগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরতে হবে। সাংবাদিকরা কখনই নিরপেক্ষ নন। তারা সব সময়ই জনগণের কল্যাণের পক্ষে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ সাংবাদিক, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রিয়াজউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দৈনিক নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজের একাংশ সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, এম আবদুল্লাহ, জিটিভি-সারাবাংলার সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, এনটিভির বার্তাপ্রধান খায়রুল আনোয়ার, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি শফিকুল করিম সাবু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা মূসা ঝুমা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক কবি হাসান হাফিজ। এর আগে সকালে আজিমপুর কবরস্থানে আতাউস সামাদের কবরে বিএফইউজে, ডিইউজে এবং স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়।
