সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
শেষ কোথায় এই অনিয়মের

ফজিলাতুন নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালে দুর্নীতি সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে চক্ষু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের চারতলা ভবন নির্মাণে দুর্নীতির খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। গোপালগঞ্জ জেলায় এই ভবন নির্মাণে ১ কোটি ৮০ লাখ ৪১ হাজার ৯৬৫ টাকার দুর্নীতি হয়েছে মর্মে অডিট আপত্তি বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের কার্যালয়। অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য সুপারিশ করে মন্ত্রণালয় ও প্রধান প্রকৌশলী দফতর। তবে তাতে অডিট বিভাগ নারাজি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি হাসপাতাল নির্মাণে অনিয়মে বিস্ময়ও করেছে সংসদীয় কমিটি। একইসঙ্গে কমিটি আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দায়ীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের সুপারিশ করেছে। সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১২তম বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজী। কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মো. আফছারুল আমীন, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জহিরুল হক ভূঞা মোহন, আহসানুল ইসলাম টিটু, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, ওয়াসিকা আয়েশা খান ও মো. জাহিদুর রহমান বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে উত্থাপিত কার্যপত্র থেকে জানা যায়, ফজিলাতুন নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের নার্সদের জন্য ইউনিটের ৮০০ বর্গফুটের কোয়ার্টার নির্মাণকাজে এ অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়। এতে সরকারের ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ ৪১ হাজার ৯৬৫ টাকা। নিরীক্ষায় দেখা যায়, বর্ণিত দ্বিতীয় কাজে প্রথম কাজের দরপত্রদাতা মো. আবদুল খালেক ৮ কোটি ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪২ টাকা দিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হন। এ ছাড়া ‘ইহা ডেল্টা অ্যান্ড বেনজির  কনস্ট্রাকশন’-এর দরপত্র ছিল ৯ কোটি ৭৯ লাখ ৬৩ হাজার ৮০ টাকার। কিন্তু কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদ আবদুল খালেকের সঙ্গে ১০ কোটি ৬৪ লাখ ৭৭  হাজার ৭ টাকার চুক্তি সম্পাদন করে। এ ছাড়া নিরীক্ষার সময় এসব দরপত্র উপস্থাপন করা হয়নি, যা পিপিআর, ২০০৯-এর বিধি ৯৮(৬) ও ৯৮(১২) অনুযায়ী অতি গুরুতর ও আপত্তিকর বলে গণ্য হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর