সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

লোকমানকে আদালতে পাঠানো হবে আজ জেরার মুখে বাকিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মোহামেডান ক্লাবের সদস্য সচিব লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে আজ আদালতে হাজির করা হবে। ক্যাসিনোকান্ডে যুক্ত এ ক্লাব কর্মকর্তার দুই দিনের রিমান্ড গতকাল শেষ হয়েছে। তেজগাঁও থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল তাকে। ক্যাসিনো ব্যবসা, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার খালেদ ভূঁইয়া, জি কে শামীম এবং শফিকুল আলম ফিরোজের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ তিনজনকেই র‌্যাব জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের একজন বলছেন, লোকমান ২৬ বছর ধরে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক ও পরে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি দুটি পদের অপব্যবহার করে ক্লাবটি ক্যাসিনো চালানোর জন্য ভাড়া দেন। প্রায় ২ বছর আগে ওই ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা শুরু করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

র‌্যাব সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সফিকুল আলম ফিরোজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া এবং যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ডে রয়েছেন। র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, আসামি খালেদ ঢাকার মতিঝিল ইয়ংমেনস ক্লাব, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, আরামবাগ ক্লাবসহ ফকিরাপুলের অনেক ক্লাবে ক্যাসিনোর আসর বসিয়ে রমরমা মাদক ব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। আসামি জি কে শামীম চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অবৈধ মাদক ও জুয়ার আসর বসিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অনেক রাঘববোয়ালের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সঙ্গে বিরোধের পর থেকে ৬ দেহরক্ষী নিয়োগ করে চলাফেরা করতেন। ফিরোজ কলাবাগান ক্রীড়া চক্রে ক্যাসিনো চালানো, জুয়া খেলা, দখল ও চাঁজাবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ তিন আসামির সঙ্গে কে বা কারা কীভাবে জড়িত তাদের নাম পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ তিনজনের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া গেছে। কারা ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, কারা কমিশন নিয়েছেন, পুলিশ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীদের নামও পাওয়া গেছে এদের কাছ থেকে। এসব তথ্য এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম আসবে। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর