সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দেশে সবচেয়ে নির্যাতিত নদী ও নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে সবচেয়ে নির্যাতিত নদী ও নারী

সৈয়দ আবুল মকসুদ

বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, নদী দখল ও দূষণকারী কাউকে একবিন্দু ছাড় দেওয়া যাবে না, বর্তমানে নদী ও নারী সবচেয়ে বেশি বিপন্ন। এই বুদ্ধিজীবী আরও বলেন, সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের মদদ ছাড়া নদী দখল করা সম্ভব নয়। তাদের প্রভাবশালী মহল দখল ও দূষণের মাধ্যমে এমনভাবে অত্যাচার করেছে, অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মো. আনোয়ার সাদত এতে সভাপতিত্ব করেন।

আবুল মকসুদ বলেন, দেশের নদী কমিশন ৪২ হাজার ৪২৩টি নদী দখলকারীর তালিকা করেছে। আমার মনে হয়, এ সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। এখন এ তালিকা এবং তালিকার বাইরে যারা আছে, সব দখলকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নদী আমাদের সম্পদ, এটা রক্ষার দায়িত্ব সরকার ও প্রশাসনের পাশাপাশি আমাদের সবার। তিনি বলেন, নদী সাধারণ প্রভাবশালী-শিল্পপতিরা দখল করেন। তাদের সার্বিক সহযোগিতা করেন সরকারের লোকেরা। তাদের লোভ-লালসার কারণে নদী দখল হয়ে যায়, ক্যাসিনোর মতো খেলা চলে। এখন দেশে সবচেয়ে নির্যাতিত-অত্যাচারিত নদী ও নারী। তাদের ওপর চালানো অত্যাচার অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তবে সরকার এখন নদী রক্ষায় আন্তরিক। শুধু পরিবেশবাদীদের আন্দোলনে নদী বাঁচানো যাবে না। নদী বাঁচাতে হলে সরকার ও প্রশাসনকে সব থেকে বেশি আন্তরিক হতে হবে। অধ্যাপক মো. আনোয়ার সাদত বলেন, নদী রক্ষায় যাবতীয় নীতিমালা সুস্পষ্টভাবে তাদের সংগঠনের ১৭ দফায় রয়েছে, কাজেই সরকার যদি তাদের সুপারিশ গ্রহণ করে, পদক্ষেপ নেয়, তাহলে বাংলাদেশের নদ-নদী রক্ষা করা সম্ভব। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ার হোসেন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, নদীর অধিকার নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজন স্বতন্ত্র নদী আইন ও নদী আদালত-ট্রাইব্যুনাল গঠন করে নদী অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা। কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বাপার মিহির বিশ্বাস, সংগঠনের এ কে এম সিরাজুল ইসলাম, ডা. বোরহান উদ্দিন অরণ্য, তাজুল ইসলাম, মো. বশির উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হাছিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট মো. শহিদুল্লাহ, অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির, আবদুল হালিম সরকার, আজম খান প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর