সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

২০৩০ সালের পর টেলিস্কোপ দিয়ে খুঁজেও দরিদ্র মিলবে না : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি যেভাবে হচ্ছে তাতে ২০৩০ সালের পর টেলিস্কোপ দিয়ে খুঁজলেও দরিদ্র মানুষ পাওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে আগামী পাঁচ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ ছাড়াবে বলেও আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আয়োজনে ‘হার্নেস ব্লকচেইন টেকনোলজি ফর বাংলাদেশ’ বিষয়ে দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন আশাবাদ প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, গত ১০ বছরে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অবিশ্বাস্যভাবে বেড়েছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। বহুল কাক্সিক্ষত পদ্মা সেতু চালু হলেই দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ বাড়বে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী। এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন বিশ্ববাসীর কাছে রোল মডেল। বাংলাদেশ এখন জনমিতিক সুবিধা (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট) গ্রহণের যুগে প্রবেশ করেছে। এ সুবিধা নেওয়ার সবচেয়ে বড় সুযোগ ব্লকচেইন প্রযুক্তির জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২০ লাখ তরুণ শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে। এই বিপুলসংখ্যক তরুণকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে যুক্ত করতে পারলে অর্থনীতির সমন্বিত উন্নয়ন সম্ভব। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব শুরু হয়েছে। এখন অর্থনীতিতে রোবটিকস, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, বায়োটেকনোলজি, ন্যানো টেকনোলজির মতো ব্লকচেইনও ভূমিকা রাখবে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রথাগত চাকরির সুযোগ সুবিধা বিলুপ্ত হওয়ার পাশাপাশি নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাই আমাদের জনমিতিক সুবিধা গ্রহণ করতে হলে প্রযুক্তি ভিত্তিতে শিক্ষার উন্নয়ন ঘটিয়ে এই শিল্প বিপ্লবের সুযোগ নিতে হবে। কারণ চলমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অবিশ্বাস্য গতিতে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এর সুবিধা নিতে হলে দ্রুত উন্নতি করতে হবে। এর জন্য প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও মানবসম্পদ উন্নয়নে আমাদের কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই—ইলাহী চৌধুরী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’র সুবিধা নিয়ে ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা বলেন। যাতে সব কার্যক্রমে সম্পূর্ণভাবে স্বচ্ছ ও দ্রুত এবং অধিক টেকসই প্রক্রিয়া নিশ্চিত হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর