ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চেয়ার-টেবিল দখল করে রাখায় মধুর ক্যান্টিনের মেঝেতে বসতে বাধ্য হয়েছে ছাত্রদল। গতকাল সকালে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে এলে জায়গা না পেয়ে মেঝেতেই বসে পড়েন। তাদের অভিযোগ, নতুন কমিটি গঠনের পর মধুতে এসে ছাত্রলীগের সহযোগিতামূলক আচরণ পাননি। গতকাল সকালে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ছাত্রদলের আগেই মধুতে এসে সব টেবিল-চেয়ারে বসে পড়ে। ফলে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এসে বসার জায়গা না পেয়ে মেঝেতেই বসে পড়ে প্রতিবাদ জানায়। এ সময় সেখানে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমানসহ প্রায় দেড়শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন। পরে ইকবাল হোসেন শ্যামল সাংবাদিকদের বলেন, নতুন নেতৃত্ব নিয়ে মধুতে আসার পর ছাত্রলীগ বারবার আমাদের ওপর হামলা করেছে। সাংবাদিকসহ আমাদের ৪০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তারা বিভিন্নভাবে আমাদের কটাক্ষ করে। মধুতে আসার পর কোনো চেয়ার পাইনি। তারা সব সরিয়ে রেখেছে এবং নিজেরা দখল করে বসে আছে। এ সময় শ্যামল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেক চেয়ার খালি পড়ে আছে, কিন্তু আমাদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না। সারা বাংলাদেশেই এমন চিত্র। সাংবাাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা টেবিল চাপড়িয়ে স্লোগান দিতে শুরু করে। এতে কথা বলায় বিঘ্ন ঘটে। এদিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, এখানে ছাত্রদের সঙ্গে ছাত্রদের সহাবস্থান হবে। ছাত্রসংগঠনের কোনো নিয়ম না মানলে কীভাবে সহযোগিতা করব। ছাত্রদল অরাজকতা সৃষ্টি করতেই ক্যাম্পাসে আসে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ছাত্রদল ছাড়া আরও অনেক সংগঠন মধুতে বসে। তাদের তো কোনো অভিযোগ নেই, ছাত্রদলের এত অভিযোগ কেন? তাদের কমিটির ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারা সেটা অমান্য করে মধুতে আসছে।