রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দিল্লিতে হাসিনা-মোদি বৈঠক

সাত চুক্তি সমঝোতা স্মারক সই, উদ্বোধন তিন যৌথ প্রকল্পের । টেগর শান্তি পুরস্কার পেলেন প্রধানমন্ত্রী

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

দিল্লিতে হাসিনা-মোদি বৈঠক

নয়াদিল্লিতে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন

নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির শীর্ষ বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। উদ্বোধন হয়েছে তিনটি যৌথ প্রকল্প। গতকাল দুপুরে নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠকে বসেন দুই দেশের সরকারপ্রধান। এরপর তাদের উপস্থিতিতেই চুক্তি সই ও চুক্তিপত্র বিনিময় হয়। শেখ হাসিনা হায়দরাবাদ হাউসে পৌঁছালে প্রধান ফটকে গিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র্র মোদি। এরপর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তাঁরা। স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা স্মারকের আওতায় ফেনী নদীর ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করতে পারবে ভারত। ওই পানি তারা ত্রিপুরার সাবরুম শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ব্যবহার করবে। উপকূলে সার্বক্ষণিক মনিটরিং-ব্যবস্থার (কোস্টাল সারভাইল্যান্স সিস্টেম-সিএসএস) বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে দুই দেশ। চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের বিষয়ে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই হয়েছে। চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশকে দেওয়া ভারতের ঋণের প্রকল্প বাস্তবায়নে। সহযোগিতা বিনিময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইউনিভার্সিটি অব হায়দরাবাদের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিনিময় নবায়ন ও যুব উন্নয়নে সহযোগিতা বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

চুক্তি ও সমঝোতা পত্র বিনিময়ের পর শেখ হাসিনা ও মোদি যৌথভাবে তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এগুলো হলো- খুলনায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বাংলাদেশ-ভারত প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট’, ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে ‘বিবেকানন্দ ভবন’ ও ‘বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় এলপিজি আমদানি প্রকল্প’। প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগত এক দশকে আমাদের উভয় দেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রথাগত সহযোগিতা প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন নতুন ও অপ্রচলিত খাত যেমন মেরিটাইম, পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, মহাকাশ গবেষণা, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি ও সাইবার সিকিউরিটি ইত্যাদি খাতে উভয় দেশ সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করেছে। এসব বহুমুখী ও বহুমাত্রিক সহযোগিতার ফলে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশ্ববাসীর সামনে সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের দৃষ্টান্ত হিসেবে উঠে আসছে।’ এলপিজির প্রকল্প নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা আমাদের উভয় দেশের বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে। এর ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যসমূহের জ্বালানি চাহিদা পূরণ অনেকাংশে সহজ হবে বলে আশা করছি।’ খুলনার বিআইপিএসডিআই বাংলাদেশের ওই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে বিভিন্ন রকম উন্নতমানের যন্ত্রপাতি দিয়ে অবদান রাখবে বলে আশা করেন শেখ হাসিনা। তিনি আশা করেন, ভারত সরকারের আর্থিক অনুদানে স্থাপিত রামকৃষ্ণ মিশনের বিবেকানন্দ ভবন শিক্ষা বিস্তারে সহায়তার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে ভূমিকা রাখবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘গত এক বছরে আমি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে নয়টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। আজকে তিনটি প্রকল্প যোগ হয়ে এক ডজন যৌথ প্রকল্পের উদ্বোধন করলাম। এগুলোর উদ্দেশ্য আমাদের নাগরিক জীবনের মান উন্নত করা। এটা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূলমন্ত্র।’ শীর্ষ বৈঠকের পর হায়দরাবাদ হাউসে শেখ হাসিনা তাঁর সম্মানে দেওয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।

৩৮ দফার যৌথ ইশতেহার : বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকের পর ৩৮ দফা যৌথ ইশতেহার ঘোষণা করে দুই দেশ। এর মূল বিষয় হলো, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে দুই দেশের সম্পর্ক অপরিবর্তিত রেখে উন্নয়নে শামিল হওয়া এবং আগামী বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হায়দরাবাদ হাউসের বৈঠকে এনআরসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান, ভারতের এনআরসি প্রক্রিয়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চলছে। এ প্রক্রিয়া শেষ হতে অনেক সময় লাগবে। ফলে এর কী প্রতিক্রিয়া হবে তা এখনই পূর্বাভাস করা সম্ভব নয়। এতে বাংলাদেশে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা- জানতে চাইলে ভারতের সরকারি সূত্র ভারতীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী এটুকুই বলেছেন। এর বেশি কোনো শব্দ জোড়া সম্ভব নয়। তবে তাঁরা এটা নিশ্চিত করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে উত্থাপন করেছেন। তিস্তা না হলেও মোট সাতটি নদ-নদীর পানি বণ্টনের জন্য ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি করায় সহমত। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর উভয় দেশের জারি করা যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় দেশের যৌথ নদী কমিশনের টেকনিক্যাল কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, দারিয়া, দুধকুমোর ও ভবিষ্যতে ফেনী নদীর পানি বণ্টনের চুক্তির জন্য একটি খসড়া চুক্তি চূড়ান্ত করতে। একই সঙ্গে গঙ্গা-পদ্মার পানি বাংলাদেশের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবহারে যৌথ কারিগরি কমিটির বিচার্য বিষয়ের শর্তাবলি তৈরি করতে সহমত হয়েছে দুই দেশ। যৌথ বিবৃতি জানিয়েছে, বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল তিস্তার পানির অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য আগ্রহ জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ বিষয়ে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ভারত সরকারের এক সূত্র জানান, ‘আপনারা জানেন কেন তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না। অর্থাৎ মমতা ব্যানার্জি সম্মতি না দিলে তা হবে না।’ ওই সরকারি সূত্র জানিয়েছেন, সাত নদ-নদীর কাঠামোগত চুক্তির বিষয় হলো, উপত্যকা পরিচালনব্যবস্থা নয়, বরং কেবল পানি বণ্টনের জন্য।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন। এ বিষয়ে দুই দেশ সহমত বলে ভারত সরকার জানিয়েছে। ওই সূত্র বলেন, এখন পর্যন্ত ভারত রোহিঙ্গাদের জন্য ১২০ কোটি রুপি বাংলাদেশে সাহায্য করেছে ত্রাণসামগ্রী হিসেবে। পঞ্চম সাহায্য শিগগিরই যাবে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরতের জন্য উপযুক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ও সামাজিক-আর্থিক পরিস্থিতি গড়ে তোলা, যাতে তারা নিরাপদে প্রত্যাবর্তন করতে পারে। বাংলাদেশের সঙ্গে যে চুক্তি ও সমঝোতা পত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে তার ব্যাখ্যা করে ভারত সরকারের মুখপাত্র জানান, চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর ভারতকে ব্যবহার করতে দেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সম্মত হওয়ায় ভারতের উত্তর-পূর্বে সহজেই পণ্য সরবরাহ করা যাবে। বাংলাদেশ থেকে যে এলপিজি ভারতে আমদানি হবে তার জন্য ১৭ মিলিয়ন ডলার প্রথম পর্যায়ে লগ্নি হবে। বাংলাদেশেই বটলিং প্ল্যান্ট হবে। ত্রিপুরায় হবে গুদাম। এতে বাংলাদেশে যেমন কর্মসংস্থান বাড়বে এবং বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্য আয় হবে তাতে বাণিজ্যিক ঘাটতি কম হবে। উভয় দেশের মধ্যে ভবিষ্যতে বস্ত্র ও পাট শিল্প মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চুক্তি করা নিয়ে সম্মতি হয়েছে।

উভয় দেশ যৌথ আর্থিক অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষরে সহমত হয়েছে, যেহেতু বাংলাদেশ স্বল্প আয় থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। এ চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে একটি সমীক্ষা দল গঠন করা হবে। এ ছাড়া আখাউড়া-আগরতলা দিয়ে বন্দরে পণ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণ শিথিল করবে। বাংলোদেশ পাটসহ বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যে অ্যান্ট ডাম্পিং শুল্ক রয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানায়। এটা স্থির হয়েছে উভয় দেশ সরকারি পর্যায়ে এ বিষয়ে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্তে উপনীত হবে। ভিসা সরলীকরণ ইস্যুতে বলা হয়েছে, ভারতের শুল্ক বন্দর দিয়ে বাংলাদেশিদের রেল বা স্থল পথে যাতায়াতের জন্য নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা হবে। বৈধ দলিলের ভিত্তিতে আখাউড়া দিয়ে যাতায়াত সহজ করা হবে। ভারত চেন্নাইতে একটি উপহাইকমিশন কনস্যুলেট খোলায় সম্মতি দিয়েছে। ত্রিপুরার সাবরুম শহরে পানীয় জল সরবরাহের জন্য ফেনী নদী থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি উত্তোলনের সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ; যাতে এই শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ হয়। কেননা, এই শহরে পানিতে আর্সেনিক অত্যন্ত বেশি। এই চুক্তির জন্য ভারত আট বছর ধরে চেষ্টা করছে বলে সরকারি সূত্র জানান। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে লাইন ক্রেডিট সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের জন্য ঢাকায় এক্সিম ব্যাংক হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ-ভারত উপকূলে রাডার বসানোর চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছে; যাতে সমুদ্রপথে নিরাপত্তা বজায় রাখা যায়। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ভারত সম্মত হয়েছে নেপাল-ভুটান থেকে সহজ দরে জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশকে দেওয়া হবে। এখানে ভারতের আর্থিক সহযোগিতায় বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী-মুক্তিযুদ্ধের পঞ্চাশ বছর এবং ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি যৌথভাবে পালিত হবে। এ লক্ষ্যে একটি সাংস্কৃতিক চুক্তি নবায়ন হয়েছে। মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশতজন্মবার্ষিকী পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার দুটি ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। এই যৌথ বিবৃতিতে সার্ক সম্পর্কে কোনো কথা না থাকলেও বিমসটেককে ঘোষিত লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে।

শেখ হাসিার সঙ্গে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ : বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘আরও উচ্চতায়’ নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত। দিল্লিতে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘জয়শঙ্কর বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’ বৈঠককালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী উপস্থিত ছিলেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ।

শান্তি পুরস্কার গ্রহণ : ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘টেগর শান্তি পুরস্কারে’ ভূষিত করা হয়েছে। গতকাল নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর ইশা মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। শান্তি প্রতিষ্ঠা, ক্ষুধা-দারিদ্র্য ও দুর্নীতি প্রতিরোধ, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি ভূমিকা রাখায় এশিয়াটিক সোসাইটি তাঁকে এ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। শেখ হাসিনার আগে বিশ্বশান্তির অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা এ পুরস্কারে ভূষিত হন।

সর্বশেষ খবর