বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কোনো শিক্ষার্থীর জানমালের নিরাপত্তা নেই : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, দেশের মাটি ও পানি রক্ষার যুদ্ধে প্রথম শহীদ হলেন আবরার ফাহাদ। তিনি ফেনী নদীর নাম ‘আবরার নদ’ করারও দাবি জানান। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নামক এই ‘দানব জঙ্গি’ লীগকে নিষিদ্ধ না করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরবে না। শিক্ষার্থীদের জীবনেরও নিরাপত্তা থাকবে না। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান রিজভী আহমেদ। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। আবরার ফাহাদের মতো নিরীহ, নিরপরাধ, দেশপ্রেমিক মেধাবী ছাত্রকে হত্যার মাধ্যমে ছাত্রলীগ এটাই প্রমাণ করেছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই আর কোনো শিক্ষার্থীর জানমালের নিরাপত্তা নেই। রিজভী আহমেদ বলেন, ফেসবুকে দেশবিরোধী চুক্তির বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ার অপরাধে রাতভর নির্যাতন চালিয়ে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা খুন করেছে আবরার ফাহাদকে। বিএনপির এই নেতা বলেন, ছাত্রলীগের খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজি, টেন্ডার-বাণিজ্য অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ছাত্রলীগের অতীত ঐতিহ্য ম্লান করে দিয়ে এর ডাকনাম এখন হয়ে পড়েছে চাপাতিলীগ। রিজভী আহমেদ বলেন, ফাহাদ হত্যার ঘটনায় চকবাজার থানায় যে মামলা হয়েছে সেখানে আসামি হিসেবে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও রহস্যজনকভাবে এ ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্তের নাম নেই। শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুম তথা টর্চার সেলটি কার? তাকে বাঁচাতে বুয়েট প্রশাসন উঠেপড়ে লেগেছে। তারা খুনিদের আড়াল করতে সিসিটিভিতে ধারণকৃত ২০ মিনিটের ভিডিও এডিট করে মাত্র দেড় মিনিটের একটি ক্লিপ দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের। বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তির অসংগতি ফেসবুকে তুলে ধরায় ফাহাদকে খুন করা হয়েছে। আবরারকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জাতি স্তব্ধ ও বিমূঢ় হয়ে পড়েছে। তিনি ফাহাদকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা, ধিক্কার ও প্রতিবাদ এবং প্রকৃত হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

সর্বশেষ খবর