রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কঠোর নিরাপত্তায় বিএনপির সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কঠোর নিরাপত্তায় বিএনপির সমাবেশ

নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গতকাল বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কঠোর পুলিশি নিরাপত্তায় রাজধানীতে সমাবেশ করেছে বিএনপি। ভারতের সঙ্গে ‘দেশবিরোধী চুক্তি’ বাতিল ও বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির এ সমাবেশ হয়। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী চুক্তির বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ায় বুয়েটের ছাত্র আবরারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কাজেই এটা এখন দেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রতিবাদ। আবরারকে  হত্যার মাধ্যমে দেশের জনগণের কণ্ঠকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি বলেন, সর্বস্তরে যে আন্দোলন আজ শুরু হয়েছে, যৌক্তিক পরিণতির আগে তা আর শেষ হবে না। ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সমাবেশে আসার পথে ৫০ জনেরও বেশি বিএনপি নেতা-কর্মীকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। পুলিশের টিয়ারশেল, লাঠিচার্জ ও বাধায় ১০ জনেরও বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে জানানো হয়। সমাবেশে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আবরারের রক্ত জনগণ বৃথা যেতে দেবে না। দেশের আপামর জনগণ আজ নৃশংস এ হত্যকান্ডে র বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না। ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে, গণতন্ত্র মুক্ত হবে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির সমালোচনা করে ড. মোশাররফ বলেন, ভারতকে ফেনী নদীর পানি উত্তোলনে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন, সমুদ্রবন্দর ব্যবহার ও উপকূলে যৌথ নজরদারির নামে ভারতকে ২০টি রাডার প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি দিয়েছেন। আমরা যে এলপিজি আমদানি করি তা ভারতে রপ্তানি করার অনুমতি দিয়েছেন। এসব চুক্তির প্রতিটি চুক্তিই বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, মাত্র দুই কোটি টাকার একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে দেড় বছর ধরে জেলে পুরে রাখা হয়েছে। আর যুবলীগের এই ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের একেকজনের কাছ থেকেই ২০০ কোটির ওপরে টাকা পাওয়া যাচ্ছে। দুই একজনকে জেলে নিলেও তাদের জামাই আদরে রাখা হয়। তাই আজ সময় এসেছে, সবাই আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন। এ সরকারকে আর জোর করে ক্ষমতায় বসে থাকতে দেওয়া যাবে না।

 মির্জা অব্বাস বলেন, এ ধরনের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে কোনো দেশের কাছ থেকেই কোনো কিছু আদায় করা যাবে না। তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রথম রাজধানীতে বিএনপি পুলিশের অনুমতি ছাড়াই তাদের শত বাধার মুখে সমাবেশ করেছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সব নেতা-কর্মীকে অশেষ ধন্যবাদ জানান তিনি।

রিজভী আহমেদ বলেন, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ আকার ধারণ করেছে। তার বাঁ হাতের আঙ্গুলগুলো পর্যন্ত বেঁকে গেছে। আর বসে থাকার সময় নেই। এ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

সর্বশেষ খবর