রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চিকিৎসায় ভারত নির্ভরতা কমাতে পারে সমন্বিত উদ্যোগ

ডা. শান্তনু সেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চিকিৎসায় ভারত নির্ভরতা কমাতে পারে সমন্বিত উদ্যোগ

ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজ্য সভার সদস্য ডা. শান্তনু সেন বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের চিকিৎসায় ভারত নির্ভরতা কমাতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এর মাধ্যমে যাতে ভারতের চিকিৎসকরা বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের চিকিৎসকরা ভারতে গিয়ে সেবা দিতে পারেন। অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সুপার স্পেশাল যেমন- ক্যান্সার, লিভার, নিউরো, কিডনি বিষয়ে বাংলাদেশে সেবার মান বাড়বে। গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কনফারেন্স কক্ষে আলাপচারিতায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এমন মন্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ইয়োগা গুরু ডা. সত্যজিত বিশ্বাস এবং পশ্চিমবঙ্গ ইয়োগা ও ন্যাচারোপ্যাথি কাউন্সিলের সভাপতি বঙ্গভূষণ ডা. তুষার শীল। ডা. শান্তনু সেন বলেছেন, ভারতের এবং বাংলাদেশের জনসংখ্যার অনেক পার্থক্য থাকলেও বসবাসকারীদের ঘনত্বের কারণে তুলনা হতেই পারে। স্বাস্থ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। অথচ স্বাস্থ্য খাতে ভারতের বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ দশমিক ১ শতাংশ, বাংলাদেশে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। আমেরিকাতে জনস্বাস্থ্যের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রয়েছে ১৮ শতাংশ। তাই সেবার মান বাড়াতে সরকারকে অবশ্যই স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এর মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকার ‘স্বাস্থ্য সাথী’ প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া শুরু করেছে। সরকারি হাসপাতালে সিটিস্ক্যান, এমআরআই সেবা দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে। রোগীর চিকিৎসা ব্যয় ৫ লাখ রুপি পর্যন্ত রাজ্য সরকার বহন করে থাকে। বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে কাজ করলে ‘এক্সচেঞ্জ টু ফ্রি হেলথ’ প্রোগ্রাম বাংলাদেশেও শুরু করা যেতে পারে। ভারতে খুব কম খরচে ভালো মানের সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। দুই দেশের চিকিৎসকদের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এবং কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করলে চিকিৎসা সেবার মান আরও বাড়বে। দেশে সব সেবা নিশ্চিত করতে পারলে রোগীদের অন্য দেশে যাওয়ার খরচ এবং যাতায়াতের ভোগান্তি কমবে। ভারতের আসাম রাজ্যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই রয়েছে আলোচনা ও উৎকণ্ঠা। এ বিষয়ে পশ্চিম বঙ্গের রাজ্য সরকারের ভাবনা জানতে চাওয়া হয়েছিলে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য ডা. শান্তনু সেনের কাছে। তিনি বলেন, এনআরসি এখন ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয় হয়ে গেছে। এনআরসি তালিকায় আসামের ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। অথচ বহু বছর ধরে তারা সেখানে বসবাস করছে। তাদের আধার কার্ড, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড আছে। এই মানুষদের ভোটে জিতে কাউন্সিলর, এমপি, এমএলএ, মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাদের অনেকের সন্তান হয়তো কার্গিলের যুদ্ধে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। এখন হঠাৎ করে তাদের বলা হচ্ছে তারা ভারতের নাগরিক না। এই আন্দোলনে তৃণমূল কংগ্রেস শুরু থেকে ভুক্তভোগী মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। আমাদের নেত্রী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি আলোচনার শুরু থেকেই এই ভুক্তভোগী মানুষের জন্য লড়ছেন।

সর্বশেষ খবর