শিরোনাম
সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

অনলাইন ক্যাসিনো গুরু সেলিম ফের রিমান্ডে

খালেদ শামীম কারাগারে

আদালত প্রতিবেদক

অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার মূলহোতা সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগীকে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী রিমান্ডের এ আদেশ দেন। অন্য দুই আসামি হলেন- সেলিম প্রধানের সহযোগী মো. আক্তারুজ্জামান ও মো. রোমান।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম খান ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। গত ৩ অক্টোবর মাদক আইনের মামলায় এ আসামিদের চার দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। ওই রিমান্ড শেষে গত ৮ অক্টোবর থেকে আসামিরা কারাগারে ছিলেন। পরে রিমান্ড শুনানির জন্য গতকাল তাদের অদালতে হাজির করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে সেলিম প্রধান ব্যাংকক যাওয়ার উদ্দেশ্যে টিজি ৩২২ নম্বর ফ্লাইটে ওঠেন। সেখান থেকেই তাকে নামিয়ে আটক করা হয়। আটকের পর তার গুলশান ও বনানীর অফিস এবং বাসায় অভিযান চালিয়ে ২৯ লাখ পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকার সমপরিমাণ ২৩টি দেশের মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, ১৩টি ব্যাংকের ৩২টি চেক, ৪৮ বোতল বিদেশি মদ, একটি বড় সার্ভার, চারটি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করে র‌্যাব। হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে ছয় মাসের কারাদ  দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। পরে মাদক ও অর্থ পাওয়ার ঘটনায় দুই সহযোগীসহ সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে গত বুধবার গুলশান থানায় র‌্যাব মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করে।

রিমান্ড শেষে খালেদ শামীম কারাগারে : ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া এবং রাজধানীর ঠিকাদারির মাফিয়া গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন।

এর আগে মানিলন্ডারিং এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় রিমান্ড শেষে আসামি খালেদ ও জি কে শামীমকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে গুলশানের বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে গুলশান ও মতিঝিল থানায় খালেদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়। গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং আইনে পৃথক তিনটি মামলা এবং মতিঝিল থানায় মাদক আইনের আরেকটি মামলা করা হয়। পরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর খালেদকে  অস্ত্র আইনের মামলায় চার দিন এবং মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত। ২৭ সেপ্টেম্বর অস্ত্র এবং মাদক মামলায় ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ৭ অক্টোবর মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় চার দিন এবং মতিঝিল থানার মাদক মামলায় তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এদিকে রাজধানীর ঠিকাদারির মাফিয়া গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে গত ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে নিজ কার্যালয় থেকে সাত দেহরক্ষীসহ আটক করে র‌্যাব। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচার আইনে তিনটি মামলা হয়। ২১ সেপ্টেম্বর জি কে শামীমের অস্ত্র ও মাদকের দুটি মামলায় ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২ অক্টোবর মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় ৫ দিন এবং অস্ত্র আইনের মামলায় ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

সর্বশেষ খবর