বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সরকারের শাখা-প্রশাখায় দুর্নীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের শাখা-প্রশাখায় দুর্নীতি

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, এই সরকার জবাবদিহিতাহীন সরকার। তাদের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় আজ দুর্নীতি ঢুকে গেছে। জবাবদিহিতা না থাকলে যা হয়, তাই হচ্ছে এখন। আর সে কারণেই আজকে এই সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, লুটপাট আর টেন্ডারবাজির সীমাহীন দুর্নীতি চলছে। বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের নেতারা নির্মমভাবে হত্যা করার প্রতিবাদে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২০-দলীয় জোটের এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে এতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টি (জাফর) মোস্তফা জামাল মহিউদ্দিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান রেজা, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ অংশ নেন। সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছর ধরে ছাত্রলীগ, যুবলীগের নৈরাজ্যে দেশের মানুষ জর্জরিত। প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে। ব্যাংকলুট, শেয়ারবাজার লুট দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে এক শ্রেণির মানুষ এই সরকারের মদদে এবং যারা এই সরকার পরিচালনা করছে তাদের প্রভাবে ও তাদের প্রত্যক্ষ অংশীদারিত্বে এই ধরনের দুর্নীতি আজ বাংলাদেশে চলছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের কারামুক্তি প্রসঙ্গে মওদুদ আহমদ বলেন, প্যারোলে নয়, রাজপথের আন্দোলনেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে।

তিনি বলেন, এই সরকার যত দ্রুত ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবে- দেশের জন্য ততটা মঙ্গলজনক। সে জন্য অবিলম্বে এই সরকারের পদত্যাগ এবং সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সরকার গঠনের সুযোগ সৃষ্টি করা উচিত। সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্ভব হবে না। সুতরাং এর একমাত্র অবসান হতে পারে রাজপথ, রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়ার মুক্তি হবে। প্যারোলের মাধ্যমে নয়। রাজপথের মাধ্যমে বেগম জিয়ার মুক্তি হবে এবং এই মুক্তি আমাদের আনতে হবে এটা সময়ের ব্যাপার। এ জন্য আমাদের আর কিছুদিন সহ্য করতে হবে। যখন সময় আসবে- এদেশে একটি জালেম সরকারকে উৎখাত করার জন্য একটি জনবিস্ফোরণ ঘটবে।

মওদুদ আহমদ বলেন, ২০-দলীয় ঐক্যজোট আছে এবং থাকবে। পাশাপাশি সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য দেশের সব গণতন্ত্র মুক্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের আন্দোলনের মাধ্যমে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। আজ আমাদের সময় হয়েছে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। আবরার ফাহাদ শহীদ হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তিনি প্রমাণ করে দিয়ে গেছেন বাংলাদেশে যদি ভিন্নমত অবলম্বন করা হয়- তবে তাকে হত্যা করতে পর্যন্তও তারা দ্বিধা করে না।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ছাত্ররাজনীতি নয় ছাত্রলীগের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা আমাদের আত্মহত্যার শামিল। তিনি বলেন, আজ দেশে কোনো ছাত্র রাজনীতি নেই। এজন্যই ছাত্র রাজনীতি বন্ধের কথা হচ্ছে। আজ যদি ছাত্র রাজনীতি থাকত- তবে তা বন্ধের কথা উঠত না। তাই ছাত্র রাজনীতির নামে যে অপরাজনীতি হচ্ছে- সেটা বন্ধ করা উচিত। ভারতের সঙ্গে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো জনগণের বিরুদ্ধে বলে উল্লেখ করে তার তীব্র সমালোচনা করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

সর্বশেষ খবর