জালিয়াতি করে গাড়ি নিবন্ধনের অভিযোগে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ কমিশনের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ কার্যালয় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিআরটিএ ভোলা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক মো. আইয়ুব আনছারী (বর্তমানে ঝালকাঠিতে কর্মরত), গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অটো ডিফাইন ও ফিয়াজ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. ওয়াহিদুর রহমান, মুসা বিন শমসেরের শ্যালক মো. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী এবং ‘কার্নেট ডি প্যাসেজ’ সুবিধায় গাড়ি আনা ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী ফরিদ নাবির। জানা গেছে, কার্নেট ডি প্যাসেজ সুবিধা অনুযায়ী পর্যটকরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে বিনা শুল্কে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গাড়ি নিয়ে ঢুকতে পারেন। এই গাড়ি বিক্রি কিংবা হস্তান্তর করা যায় না।
কার্নেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় আনা একটি রেঞ্জ রোভার জিপ গাড়ি ২০১৭ সালে ঢাকায় মুসা বিন শমসেরের দখল থেকে উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। ওই গাড়িটি মুসার শ্যালক ফারুকের নামে ভোলায় নিবন্ধিত। গাড়িটি উদ্ধারের পর মুসাকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ওই তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুসার বিরুদ্ধে মামলা করতে দুদককে সুপারিশ করেছিল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভুয়া রেকর্ডপত্রের মাধ্যমে শ্যালক ফারুকের নামে মুসা গাড়িটি রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন। এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন।