শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঐক্যের ডাক ড. কামালের

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ক্ষমতার মালিক হিসেবে জনগণ যেন নিজের ভূমিকা রাখতে পারে। সেজন্য ঐক্যকে সুসংহত করতে হবে। সেজন্যই আমাদের এই ঐক্যের ডাক। ক্ষমতায় থাকতে শাসকরা সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করছে। স্বৈরশাসকদের মূল চেষ্টা থাকে সাম্প্রদায়িকতা ও সংকীর্ণ দলীয় মানসিকতার মাধ্যমে বিভেদ সৃষ্টি করা। তারা জনগণকে বিভক্ত করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন কেন্দ্রিক সংকট সমাধানে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন ও প্রাসঙ্গিকতা শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে মুক্তিজোট। মুক্তিজোটের জাতীয় সমন্বয়ক এ আর শিকদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সহসভাপতি তানিয়া রব, মুক্তিজোটের জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির প্রধান সিরাজুল ইসলাম, মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না প্রমুখ। কামাল হোসেন বলেন, ‘স্বৈরশাসকরা জনগণের হাতে ক্ষমতা দিতে চায় না। তবে অতীতে এ ধরনের শাসকরা এসব করে ক্ষমতায় থাকতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। সাময়িকভাবে ক্ষমতায় থাকলেও জনগণের ঐক্যের কারণে তাদের বিদায় নিতে হয়েছে। আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা বলে দেয়, জনগণের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। ঐক্যের ডাক জেলা, গ্রাম, পাড়া-মহল্লায় নিতে যেতে হবে আপনাদের। ড. কামাল বলেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কাক্সিক্ষত গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সাংবিধানিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই ধরনের শাসন ব্যবস্থা জনগণের আকাক্সিক্ষত লক্ষ্যগুলো পূরণ করতে পারে। আসুন ঐক্যের শপথ নিই, ঐক্য আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। তিনি বলেন, অর্থনীতিকে গতিশীল, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমরা দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার পদক্ষেপ অবশ্যই নেব। আমরা আগামীতে দেশকে জনগণের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসব। সাময়িকভাবে কোনো সরকার বৈধভাবে ক্ষমতায় আসলেও তারা ক্ষমতার মালিক নয়, মালিকের প্রতিনিধি। যারা অবৈধভাবে এখন আছে, তারা তো কিছুই না। অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী। তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐক্যের ডাক জেলায়- জেলায়, গ্রামে-গ্রামে ছড়িয়ে দিতে হবে। জনগণ ক্ষমতার মালিক হিসেবে যেন নিজের ভূমিকা রাখতে পারে। সেজন্য এই ঐক্যকে সুসংহত করতে হবে। এবার জনগণকে ক্ষমতার মালিকের ভূমিকায় রাখতে হবে। সেজন্যই আমাদের এই ঐক্যের ডাক। আমরা অতীতে ঐক্যের ডাক দিয়ে ভালো সারা পেয়েছি, সফল হয়েছি। আপনারা এখানে যেমন ঐক্যের ডাকে সারা দিয়ে এসেছেন। সে রকম পাড়া-মহল্লায়-গ্রামে সব জায়গায় এই ঐক্যের ডাককে নিয়ে যাবেন। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে তারা এই দেশের মালিকের ভূমিকা রাখতে পারবে।

এখন উন্নয়নের জুয়াতন্ত্র চলছে : আ স ম রব : জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, দেশে উন্নয়নের গণতন্ত্রও শুনতে হচ্ছে। অথচ আজ পর্যন্ত এ নামে কোনো গণতন্ত্রের নাম কোথাও শুনিনি। এখন উন্নয়নের জুয়াতন্ত্র চলছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান আজ ধ্বংস। এই সরকার এক ব্যক্তির ইচ্ছায় যা খুশি তাই করছে। এটা চলতে পারে না। তিনি বলেন, যুব লীগের সম্রাট কাকে কাকে ক্যাসিনোর টাকার ভাগ দিয়েছে তা মানুষ শুনতে চায়। কেন তাকে গ্রেফতার করতে দেরি হলো? বাজারে অনেক গুজব আছে। অনেক মন্ত্রী, শত শত এমপির নাম আছে। আপনারা দেশের মানুষকে সন্দেহের মধ্যে থাকতে দেবেন না, জিনিসটা পরিষ্কার করুন। সম্রাট বলুক কাদের কাদের টাকা দিয়েছে। এটা আমরা জানতে চাই।

তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষকে কথা বলতে দেওয়া হয় না। সভা-সমিতি করতে দেবে না। এটা আমার মৌলিক অধিকার। আইনের শাসন নেই। দেশে কোনো সরকার নেই। প্রশ্ন হতে পারে- সরকার নেই তাহলে দেশ চলছে কীভাবে। জবাব হচ্ছে- আমাদের নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছিল ৩০ ডিসেম্বর। কিন্তু সেদিন তো কোনো ভোট হয়নি। ভোট হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর রাতে। তাহলে এটা কোন সরকার। এটা কার সরকার, জনগণের নির্বাচিত সরকার? এটা কোনো সরকারই নয়। এটা হলো ভোট ডাকাতের সরকার।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর