বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোলায় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গতকাল ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। রাজধানীতে থানায় থানায় এবং সারা দেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে পল্টন-শাহবাগ-রমনা থানা বিএনপি। মিছিলটি নয়াপল্টনের কার্যালয় থেকে নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁর মোড় দিয়ে আবার কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এ সময় মহানগরী দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সকালে মোহাম্মদপুর বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আলী কায়সার পিন্টুর নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলে সিরাজ মুন্সি, জাহাঙ্গীর আলম, মাসুদ বেপারী, বাবুল হাওলাদার, আকবর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে বেড়িবাঁধ তিন রাস্তার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। কামরাঙ্গীর চর থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল থানা সভাপতি হাজী মনির হোসেন মনিরের নেতৃত্বে হয়। ওয়ারী থানা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মুক্তো ও সূত্রাপুর থানা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম আজিজের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল জজ কোর্টের সামনে থেকে শুরু হয়ে জেলা পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। কদমতলী থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল জুরাইন রেলগেট থেকে শুরু হয়ে মেইন রোড প্রদক্ষিণ করে ধোলাইপাড় গিয়ে শেষ হয়। গেন্ডারিয়া থানা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলটি বানিয়ানগর মোড় থেকে শুরু হয়ে দয়াগঞ্জ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। কদমতলী থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল জুরাইন রেলগেট থেকে শুরু হয়ে মেইন রোড প্রদক্ষিণ করে ধোলাইপাড় গিয়ে শেষ হয়। নয়াপল্টনে মিছিলে নেতৃত্বে দেওয়া রিজভী আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, মানুষ হত্যা সরকারের কাছে ‘ডাল-ভাতে’ পরিণত হয়েছে। ভোলায় নির্বিচারে সাধারণ মানুষের ওপর গুলি করা হয়েছে। শুধু কথায় কথায় গুলি। দেশের মানুষ মনে হয় পশু-পাখির মতো। যে কোনো একটা সমাবেশ হলেই সেখানে গুলি আর হত্যা। তিনি বলেন, এ সরকারের কোনো কাজ নেই। এরা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, এরা বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে, এরা স্বাধীন মতামত হত্যা করেছে। গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত হলো সমাবেশ করা। এটি সাংবিধানিক অধিকার, সেই অধিকারকে ভোলায় সরকার সহ্য করল না, চারজনকে হত্যা করল, শতাধিক আহত করল বিনা কারণে, বিনা উস্কানিতে।

সর্বশেষ খবর