শিরোনাম
সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইসলামিক দেশগুলোর চোখ ছিল শেখ হাসিনার দিকে

নেতৃত্বের নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ

জুলকার নাইন

ইসলামিক দেশগুলোর চোখ ছিল শেখ হাসিনার দিকে

আজারবাইজানে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন বা ন্যামের অষ্টাদশ শীর্ষ সম্মেলনে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূল সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতার বাইরেও তারা বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক ও আলোচনা করেছেন শেখ হাসিনার সঙ্গে। সফরসঙ্গী কূটনীতিকরা বলছেন, নেতৃত্বের দিক থেকে বাংলাদেশ যে এক নতুন উচ্চতায় উঠেছে তা স্পষ্ট হলো এই সম্মেলনে।

এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে গতকাল সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত শুক্রবার সকালে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর কংগ্রেস সেন্টারে শুরু হয় ন্যাম শীর্ষ সম্মেলন। ১২০টি উন্নয়নশীল দেশের জোট ন্যাম জাতিসংঘের পর সবচেয়ে বড় বিশ্ব ফোরাম হিসেবে পরিচিত। সম্মেলনে উপস্থিত বাংলাদেশের এক কূটনীতিকের মতে, পুরো সম্মেলনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। বাংলাদেশের বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অন্যতম বয়োজ্যেষ্ঠ বিশ্বনেতা হিসেবে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ছিল শেখ হাসিনার প্রতি এই আকর্ষণের কারণ। অন্য দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যেও আলোচনায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই কূটনীতিকের মতে, এই দৃষ্টি আকর্ষণ ও আলোচনার কারণেই ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি নিজ আগ্রহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন। একইভাবে অনির্ধারিত বৈঠক করে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেল কাদের বেনসালা কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। অবশ্য মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ও ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালকির সঙ্গে বৈঠক ছিল আগেই নির্ধারিত। জানা যায়, প্রায় ৪০ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং পর্যবেক্ষক ১৭ দেশ ও ১০ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুক্রবার সকালে সম্মেলনের প্লেনারি সেশনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ‘বান্দুং সম্মেলনে গৃহীত নীতিমালার আলোকে সমকালীন বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিত ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ নিয়ে’ আলোচনায় বক্তব্য দেন। রোহিঙ্গা সংকটের চিত্র সম্মেলনে তুলে ধরে এর সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চান তিনি। সম্মেলনের ফাঁকে গত শুক্রবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেল কাদের বেনসালা এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে  বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ওইদিন রাতে সম্মেলনের অতিথিদের সঙ্গে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন। পরদিন শনিবার সকালে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালকির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বিকালে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বিনিময় চুক্তি সই হয়। এ ছাড়া ১৯৯২ সালে নতুন দেশ হিসেবে আজারবাইজানের প্রতি বাংলাদেশের সহযোগিতার কথা বিশেষভাবে স্মরণ করেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ। ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বের সব মুসলিম দেশকে একটি পরিবারের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালকি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ফিলিস্তিন তাদের হেবরন শহরের একটি সড়ক বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সর্বশেষ খবর