শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
মানবতাবিরোধী অপরাধ

এ টি এম আজহারের মৃত্যুদন্ড বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

এ টি এম আজহারের মৃত্যুদন্ড বহাল

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে (আজহার) ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে এ রায় দেয়। আজহারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে তার মৃত্যুদন্ড বহাল রাখে সর্বোচ্চ আদালত। আপিল বেঞ্চের বাকি তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান। রায়ের সময় রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আজহারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান প্রমুখ। এর আগে, রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গতকাল সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আদালতের মূলফটকসহ আপিল বিভাগের প্রবেশমুখেও মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। দুই প্রবেশ পথেই তল্লাশির মুখোমুখি হতে হয় বিচারপ্রার্থী ও সাধারণ মানুষকে।

রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, এসব (যুদ্ধাপরাধ) মামলার আসামিরা সবাই একই কথা বলেছে যে তাদের রেসপনসিবিলিটি নাই, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এই মালায় প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী এ টি এম আজহারুল ইসলামকে যে তিনটি চার্জে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল, তার তিনটি চার্জই বহাল আছে এবং তার ফাঁসির রায়ও বহাল আছে। আজহারের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, চারজন বিচারপতির মধ্যে তিনজন একমত হয়ে ফাঁসি বহাল রেখেছেন। আরেকজন দ্বিমত পোষণ করেছেন। এরপর আমরা পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে রিভিউ করব। আমরা আশাবাদী যে, রিভিউতে অন্তত ফাঁসির আদেশটা থাকবে না। একাত্তর সালে হত্যা, গণহত্যা, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগসহ তিন অভিযোগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসির দন্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আজহার। এই আপিলের ওপর উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয় গত ১০ জুলাই। এর পর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে আপিল বিভাগ। এ টি এম আজহারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে তিনটি অভিযোগে ফাঁসি, দুটি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং একটি অভিযোগে তাকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।

সর্বশেষ খবর