গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স থেকে চাকরিচ্যুতদের করা পাঁচ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঢাকার দ্বিতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান জাকিয়া পারভীন গতকাল তৃতীয় শ্রম আদালতের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তার জামিন মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে তিনটি মামলায় ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল।
হাই কোর্ট তাকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিল। বাকি দুটি মামলায় ৫ নভেম্বর দিন ধার্য থাকলেও বিদেশ সফরের সূচি থাকায় আগাম জামিনের আবেদন করেন ড. ইউনূস। শুনানি শেষে বিচারক জাকিয়া পারভীন প্রত্যেক মামলায় ১০ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় এ জামিন মঞ্জুর করেন বলে আদালতের রেজিস্ট্রার ওয়াসিউর রহমান জানান। আগামীতে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার অনুমতি চেয়ে আরেকটি আবেদন করেছিলেন ড. ইউনূস। বিচারক তার আবেদন মঞ্জুর করে বলেছেন, অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ইউনূসকে অবশ্যই হাজির থাকতে হবে। গ্রামীণ ট্রাস্টভুক্ত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স থেকে চাকরিচ্যুত করায় শ্রম আদালতে এই পাঁচ মামলা দায়ের করা হয়। পাঁচ বাদী হলেন- গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের জুনিয়র এমআইএস অফিসার (কম্পিউটার অপারেটর) আবদুস সালাম, শাহ আলম, এমরানুল হক, হোসাইন আহমদ ও আবদুল গফুর। তাদের মধ্যে শাহ আলম প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, আবদুস সালাম প্রচার সম্পাদক এবং এমরানুল সদস্য পদে ছিলেন। ইউনিয়ন গঠন করার কারণে তাদের ‘বেআইনিভাবে’ চাকরিচ্যুত করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চেয়ারম্যান ইউনূসের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকেও এসব মামলায় আসামি করা হয়।