মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

শামীম ও খালেদকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় টেন্ডার কিং এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীম এবং যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে সংস্থাটির একটি টিম তাদের দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের রমনা থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। বেলা ৩টা থেকে দুই ঘণ্টা খালেদকে দুদকের কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এদিকে জিজ্ঞাসাবাদে খালেদ ও শামীমের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে। এর আগে রবিবার শামীমকে প্রথম দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। প্রথম দিন বেলা সোয়া ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তাকে দুদক কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। গতকাল খালেদকে প্রথম দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করে কমিশন। ২৭ অক্টোবর দুদকের আবেদনে শামীম ও খালেদকে সাত দিন করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত। এর আগে ২১ অক্টোবর দুদক খালেদ ও শামীমের বিরুদ্ধে মামলা দুটি করে। জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন। অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৯৭ কোটি ৮ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করার অভিযোগ আনা হয় সেখানে। আর খালেদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের আরেক উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। এ মামলায় খালেদের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। দুদকের অনুসন্ধানে তাদের বিপুল সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। ঢাকার ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা চালানোর অভিযোগে ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। অন্যদিকে জি কে শামীম ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন। যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দিয়ে শামীম টেন্ডার জগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন।

সর্বশেষ খবর