জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃতির ঘটনায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সশরীরে হাই কোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। পরে আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ঠিক করে দিয়েছে। গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করে দেয়। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, যবিপ্রবির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এম সাইফুদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরে ভিসির আইনজীবী কে এম সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, ভিসিসহ অভিযুক্ত তিনজন নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। ভিসি বলেছেন, ছবি বিকৃতির ঘটনা ঘটেনি। ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে ছবি বিকৃতির দায় তার ওপর চাপানো হচ্ছে। রিট আবেদনকারী আনোয়ার হোসেন বিপুল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ছবি বিকৃতির অভিযোগ এনেছেন, যা ভিত্তিহীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের লাঞ্ছিত করার দায়ে এর আগে তাকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে গত ১৫ অক্টোবর ছবি বিকৃতির ঘটনায় হাই কোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে জানায় অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায় রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির পিতার ছবি এবং ২০১৯ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করা হয়নি। এ ছাড়া ২০১৮ সালের ক্যালেন্ডারে জাতির পিতার ছবির ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নাম লেখাও সমীচীন হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃতির অভিযোগে রিট করেন যশোর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বিপুল। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পরামর্শে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. বেলায়েত হোসেন তালুকদারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
