শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
অর্থমন্ত্রীর প্রশ্ন

সিপিডির অর্থের উৎস কোথায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অর্থের উৎস সম্পর্কে জানতে চেয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘তারা গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কিন্তু তাদের টাকা কোথা থেকে আসে? সরকারের তো রেভিনিউ পাওয়ার জায়গা আছে। ওরা কোথা থেকে রেভিনিউ পায়? এই প্রশ্নের জবাব আমি চাই। এটা সম্পর্কে আমি তাদের কাছ থেকে পরিষ্কার স্টেটমেন্ট চাই। অন্যদিকে বন্ধ হয়ে যাওয়া নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিংয়ের গ্রাহকদের পাওনা ফেরতের আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সিপিডির রেভিনিউ কোথা থেকে আসে? তা পেয়ে তারা কী কাজ করেন? কতজন লোকের চাকরির ব্যবস্থা তারা করেছেন? তারা কোন কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছেন? তারা রেভিনিউ কেন পায়? তারা এ দেশের কারও না কারও জন্য কাজ করার কথা। তারা সেই কাজটা করছেন কিনা-সেটাও আমার জানা দরকার।

প্রবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তোলার প্রেক্ষিতে গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলানগরে নিজ দফতরে জাপান সরকারের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির অর্থের উৎস সম্পর্কে জানতে চান অর্থমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, রবিবার ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বাধীন পর্যালোচনা :  ২০১৯-২০ অর্থবছর প্রারম্ভিক মূল্যায়ন’ করতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিকে ‘সুতা কাটা ঘুড়ি’র সঙ্গে তুলনা করেছে সিপিডি। গতকাল অর্থমন্ত্রী বলেন, অবস্থান তাদের এক রকম এবং আমাদের এক রকম। একটা কথা আছে, যার নুন খাই তার গুণ গাই। আমি নুন খাই আমাদের দেশের জনগণের। আমি গুণ কীর্তন করব দেশের জনগণের। উনারা কারটা খায়, আমি জানি না। উনারা কার গুণকীর্তন করে, তাও আমি জানি না।

সিপিডি যে সব সময় খারাপ বলে, তা নয় বলেও মনে করেন মুস্তফা কামাল। তার বক্তব্য, ‘সিপিডি কিছু গঠনমূলক তথ্যও দেয়। কিন্তু অনেক সময় গঠনমূলক তথ্য দিতে গিয়ে ওভার ডু (বাড়িয়ে বলে) করে ফেলে।

সিপিডির ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, দেশে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে কি না হচ্ছে, কর্মসংস্থান হচ্ছে কি না হচ্ছে, এটা আপনারা ভালো জানেন। ২০০১ সালে ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে ছিল। সেটা কমে এখন ২০ শতাংশের কাছাকাছি। এই যে দরিদ্র দূর হলো, এটা কীসের হাত ধরে হয়েছে। স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। আর কোনো রকম ম্যাজিক আমাদের হাতে নাই।

জাপান সরকারের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ দিনে দিনে শুধু সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অগ্রগতির সব খাতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। তাই এখনই বিনিয়োগের সুবর্ণ সময়। বিশেষ করে জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই জাপানের সঙ্গে আমাদের নিবিড় সম্পর্ক। দিন দিন সে সম্পর্ক আরও বৃহৎ পরিসরের দিকে যাচ্ছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ করে বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে জাপান সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অত্যন্ত বিশ্বস্ত বন্ধু হলো জাপান। বর্তমানে জাপানের সঙ্গে আমাদের অনেক প্রকল্প চলমান। এসব প্রকল্প আমাদের বিনিয়োগ প্রকল্প, এগুলো থেকে সুফল নিশ্চিত। আগামীতেও তাদের সঙ্গে আমাদের আরও বেশি বেশি মেগা প্রকল্পে কাজ করার প্রত্যয় রয়েছে।

জাপান সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে থাকে এবং এমওইউতে সুদের হারও কম থাকে। জাপানের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকে না। তাই জাপানের সঙ্গে কাজ করা অনেক সহজ। 

এর আগে পিপলস লিজিং-এর গ্রাহক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের (পিএলএফএস) মতো প্রতিষ্ঠান কীভাবে চলে আমি জানি না। তবে যারা এ প্রতিষ্ঠানটিকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে তাদের কারও ছাড় দেওয়া হবে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর