মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

শাস্তির ভয়ে আইন মানবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

শাস্তির ভয়ে আইন মানবে

নতুন সড়ক পরিবহন আইনে জরিমানা ও সাজার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আইন মানার প্রবণতা বাড়বে। একই সঙ্গে ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। সেই সঙ্গে ট্রাফিকের কেউ আইন অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। গতকাল সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ‘সড়ক পরিবহন আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা প্রথম এক সপ্তাহ মামলা না দিয়ে মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্নভাবে সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি যেহেতু নতুন আইনে পুরনো আইনের সব ধারা পরিবর্তন হয়ে গেছে, এজন্য ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের ৮০০ কর্মকর্তাকে নতুন আইন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সব কর্মকর্তাকে এক মাসের মধ্যে নতুন আইনের ধারাগুলো সম্পর্কে পরীক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সার্ভার আপডেট করতে পস মেশিনে মামলা নেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আগামী সপ্তাহ থেকে কেস স্লিপ রসিদের মাধ্যমে মামলা নেওয়া শুরু হবে। প্রথমে কেউ আইন ভঙ্গ করলে তাকে সামান্য পরিমাণ জরিমানা করে সতর্ক করা হবে। পরবর্তীতে তার সম্পূর্ণ সাজা ভোগ করতে হবে। মামলায় আপিল করার সুযোগ থাকবে। চালকদের ক্ষেত্রে আইন ভঙ্গে পয়েন্ট সিস্টেম চালু করা হবে।

পয়েন্ট বাড়তে থাকলে এক পর্যায়ে তার লাইসেন্স বাতিল হবে। তিনি আর নতুন লাইসেন্স পাবেন না। হেলপারদেরও লাইসেন্সের আওতায় আনা হবে। যাত্রীদের আনা হবে বীমার আওতায়। পাশাপাশি এই আইন প্রয়োগ শুরু হওয়ার পর ট্রাফিক পুলিশের কেউ যদি কোনো ধরনের অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবকিছু মনিটর করা হবে সার্জেন্টদের শরীরে থাকা বডি অন ক্যামেরায়। পথচারীরা জেব্রা ক্রসিং বা ফুট ওভারব্রিজ দিয়ে পার না হলে নতুন আইনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এই টাকার পরিমাণ আগে ছিল ২০০। রাজধানীর সব জায়গায় ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ও জেব্রা ক্রসিং না থাকায় পথচারীদের বিষয়ে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি প্রধান বলেন, যেসব জায়গায় ওই ব্যবস্থাগুলো নেই সেখানে ট্রাফিক পুলিশ পথচারীদের পার করে দেবে। কিন্তু সব ব্যবস্থা থাকার পরও যদি কেউ আইন অমান্য করে তাহলে তাকে সাজার আওতায় আসতেই হবে। নিবন্ধনবিহীন সরকারি গাড়ির ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকারি গাড়ির নিবন্ধন করা হয় বরাদ্দ সাপেক্ষে। বরাদ্দ পেলেই নিবন্ধন করা হয়। তাই নিবন্ধনের জন্য সরকারি গাড়ির বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হবে না। তবে ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ সড়ক আইনে অন্য অপরাধ করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর