রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নাগপুরে আজ অলিখিত ফাইনাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দিল্লিতে ছিল দম বন্ধ করা ‘বায়ুদূষণ’। রাজকোটে ঘূর্ণিঝড় ‘মাহা’। দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের প্রতিপক্ষ হতে পারেনি বায়ুদূষণ। একইভাবে ঘূর্ণিঝড় মাহাও রাজকোটে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি ভারতের জয়ে। দিল্লিতে টাইগারদের ঐতিহাসিক জয়ের নায়ক মুশফিকুর রহিম। রাজকোটে ভারতকে সিরিজে ফেরানোর নায়ক রোহিত শর্মা। প্রথম দুই ম্যাচের ফলাফলে তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজে এখন সমতা। নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ সিরিজ জয়ের অলিখিত ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। ম্যাচটি সিরিজ মীমাংসার হলেও বাংলাদেশের জন্য স্বপ্ন পূরণের। যদি মাহমুদুল্লাহ বাহিনী জিতে যায়, তাহলে লেখা হবে সোনালি ইতিহাস। ভারত জিতলে রক্ষা পাবে সম্মান। দুই দলের বিপরীত সমীকরণের ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। ভারতের মাটিতে বহু ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। কিন্তু ক্রিকেট পরাক্রমশালী ভারতের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পায়নি কখনো। যদিও ২০১৬ সালে ব্যাঙ্গালুরুতে জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছেছিল টাইগাররা। মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহর শেষ মুহূর্তের ব্যর্থতায় হেরেই মাঠ ছেড়েছিল। তিন বছর পর ২০১৯ সালে সেই মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ জুটি উৎসব, উচ্ছ্বাসে ভাসায় গোটা দেশকে। অবশ্য রাজকোটের ফ্লাট উইকেটে রোহিতের ব্যাটিং তা-বে দাঁড়াতেই পারেনি টাইগাররা। নাগপুরেও ভারত ব্যাটিং উইকেট চাইছে। বিদর্ভ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের রেকর্ডও খুব ভালো নয়। তিন ম্যাচে হার দুটি এবং জয় একটি। তাই জয়ের ধারায় ফিরতে ব্যাটিং উইকেট চাইছেন শাস্ত্রী-রোহিত জুটি। এই মাঠে প্রথমবার খেলবেন মাহমুদুল্লাহরা। ভারত নামছে চার নম্বর ম্যাচ খেলতে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছিল ২৯ রানে। দ্বীপরাষ্ট্রের ২১৫ রানের জবাবে ভারত থেমেছিল ১৮৬ রানে। ২০১৬ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের ১২৬ রানের জবাবে ভারত গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ৭৯ রানে। স্বাগতিকদের গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক মিচেল সান্তানার। মাঠের সর্বশেষ ম্যাচে অবশ্য ভারত ৫ রানে হারায় ইংল্যান্ডকে। বিদর্ভ স্টেডিয়ামটি ভারতীয় অধিনায়ক রোহিতের হোম ভেন্যু। ম্যাচটি আবার বিরল একটি রেকর্ডের হাতছানি দিচ্ছে রোহিতকে। আজ হোম ভেন্যুতে দুটি ছক্কা মারলেই ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ ক্রিকেট মিলিয়ে ৪০০ ছক্কার বিরল রেকর্ড গড়বেন। সব মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ৫৩৪ ছক্কা হাঁকানোর মালিক ক্রিস গেইল। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছক্কা তামিম ইকবালের, ১৫৮টি। এমন একটি রেকর্ডের ম্যাচটি তাই বাড়তি আবেদন পাবে কোনো সন্দেহ নেই।

সর্বশেষ খবর