শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
বিপক্ষে চীন-রাশিয়া

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

প্রতিদিন ডেস্ক

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে আবারও রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে বিপুল ভোটে একটি রেজুলেশন পাস হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে এ বিষয়ে ভোটাভুটি হয়। তবে চীন ও রাশিয়া আবার এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। খবর : এনআরবি নিউজের। এই ভোটের মাধ্যমে ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শিরোনামে আনীত

এবারের রেজুলেশনটির বিশেষ দিক হলো, এতে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন উপায়ের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে এবং মিয়ানমারকে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে- তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, রেজুলেশনটি নিরাপত্তা পরিষদকে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যা নিরাপত্তা পরিষদের ওপর সরাসরি চাপ সৃষ্টি করবে। রাষ্ট্রদূত মাসুদ উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যর্থতার জন্য এতে মিয়ানমারকে দায়ী করে স্পষ্ট রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রদর্শন ও প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ তৈরিসহ সুনির্দিষ্ট ১০টি বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এতে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতকে বাস্তব পরিস্থিতির বিষয়ে রিপোর্টিং বাধ্যতামূলক করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। রাষ্ট্রদূত মাসুদ উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে প্রদত্ত বক্তব্যে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে যে সব প্রস্তাবনা দেন তার বেশ কয়েকটি এই রেজুলেশনে স্থান পেয়েছে এবং ‘রোহিঙ্গা মুসলিম’ শব্দটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে- যা গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এ রেজুলেশনটির পক্ষে ভোট দেয় ১৪০টি দেশ। চীন, রাশিয়াসহ ৯টি দেশ বিপক্ষে এবং পক্ষ অবলম্বনবিহীন ভোট প্রদান করে ৩২টি দেশ। ২০১৭ সালের উ™ভূত পরিস্থিতির ওপর ওই বছর থেকেই নিয়মিতভাবে ওআইসির নেতৃত্বে মিয়ানমারের মানবাধিকার সংকট ইস্যুতে তৃতীয় কমিটিতে এই রেজুলেশন আনা হচ্ছে। সেটিতে পক্ষে ভোট পড়েছিল ১৩৫ এবং চীন, রাশিয়াসহ ১০ দেশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। গত বছর ওআইসি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যৌথভাবে তৃতীয় কমিটিতে রেজুলেশনটি উত্থাপন করেছিল এবং তা ১৪২ ভোটে গৃহীত হয়। এবারের রেজুলেশনটি মিয়ানমারের ওপর রাজনৈতিক চাপকে শুধু জোরদারই করবে না বরং তা অব্যাহত রাখতে ভূমিকা রাখবে। ওআইসি ও ইইউর সদস্যরাষ্ট্র এবং যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্র্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও মেক্সিকোসহ মোট ১০২টি দেশ রেজুলেশনটি কো-স্পন্সর করে এবং বিপুল ভোটাধিক্যে এটি গৃহীত হয়Ñ যা রোহিঙ্গা বিষয়ে বিশ্ব জনমতের জোরালো প্রতিফলন বলে মনে করছেন জাতিসংঘের কূটনীতিকরা।

সর্বশেষ খবর