শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঢাকায় মুজিববর্ষ উদ্বোধনে মূল বক্তা নরেন্দ্র মোদি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় মুজিববর্ষ উদ্বোধনে মূল বক্তা নরেন্দ্র মোদি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী ‘মুজিববর্ষ’-এর উদ্বোধনী আয়োজনে মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষ’। ঢাকার ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের নেতারা অংশ  নেওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। ঢাকার কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন নরেন্দ্র মোদিই অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য দেবেন। সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেন, অনুষ্ঠানে ভারতের অনেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। দিল্লি, কলকাতা ও আগরতলায়ও পৃথক অনুষ্ঠান হবে। ভারতে বাংলাদেশের মিশনগুলো বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে। তিনি জানান, ঢাকায় অন্তত ৩৯ জন বিশ্বনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তাদের অনেকে ইতিমধ্যে আসার জন্য সম্মতি জানিয়েছেন। সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী আরও জানান, মুজিববর্ষ উদ্যাপনে এখন পর্যন্ত আটটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এই আন্তর্জাতিক উপকমিটিগুলো বর্তমানে বিদেশে শতবর্ষ উদ্যাপন কর্মসূচির বিবরণ দিচ্ছে। সংবাদমাধ্যমকে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী আরও জানান, ২০২০ সালের কলকাতা বইমেলা বঙ্গবন্ধুর প্রতি উৎসর্গ করা হবে। কলকাতা ও আগরতলায় যৌথ প্রকাশনা, মিডিয়া কনফারেন্স, ডকুমেন্টারি এবং সেমিনারের আয়োজন করা হবে যাতে একাত্তরের সময় উপস্থিত ভারতীয় সাংবাদিকরা তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করবেন। কলকাতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির সভাপতি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়াও লন্ডন, নিউইয়র্ক, টোকিও এবং মস্কোয় অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত এই এক বছরকে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে পালন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ ছাড়া ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে বাংলাদেশ। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বছরটি পালনের জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সর্বশেষ খবর