আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলের আসন্ন সম্মেলনে বিএনপিকে নিমন্ত্রণ করা হবে। নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি কূটনীতিকদেরও দাওয়াত দেওয়া হবে। মুজিববর্ষে বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে সম্মেলনে বিদেশি মেহমান আমন্ত্রণ জানানো হবে না। গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

পিয়াজের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, পিয়াজের দাম বাড়ানোর সিন্ডিকেট  খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব শিগগিরই তুরস্ক, মিসর থেকে পিয়াজ আসবে, এ সংকট সাময়িক। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে দলে পদ নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, জয়ের ইচ্ছার ব্যাপারও আছে এবং নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) কোনো কিছু বললে তিনি বলেন, ‘জয় তো আসতে চায় না। এখনো তার আসার আগ্রহ নেই। এ বিষয়টি আমাদের পার্টির সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের বিষয়। জয়ের নিজেরও ইচ্ছার ব্যাপার। আমি বারবার নেত্রীকে বলে আসছি, জয়কে পরবর্তীকালের জন্য গ্রুমিং করার বিষয়টা। জয় যেভাবে আছেন সেভাবেই তিনি আপাতত থাকতে চান। পীরগঞ্জে তাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য অনেক দাবি ছিল কিন্তু তিনি রাজি হননি।’ যারা মন্ত্রী হয়েছেন, তারা কী সম্পাদকীয় পদে থাকবেনথ- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কে থাকবেন, কে থাকবেন না, সে বিষয়ে দলের গঠনতন্ত্রে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া আছে দলীয় সভানেত্রীকে। এই দলে শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ অপরিহার্য ব্যক্তি নয়। তিনি বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক পদেও নেত্রী যা ইচ্ছা করবেন সেটাই হবে। তিনি পরিবর্তন চাইলে পরিবর্তন হবে। আমাদের এখানে কোনো প্রতিযোগিতা নেই। হয়তো কারও কারও ইচ্ছা ও আকাক্সক্ষা থাকতে পারে। সাধারণ সম্পাদক পদেও প্রার্থী থাকতে পারে। সেখানে কোনো অসুবিধা নেই। আমি যদি মনে করি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আর কেউ হতে পারবে না, এটা তো ঠিক না। এটা ডিসাইড করবেন নেত্রী। তবে প্রার্থী হওয়ার অধিকার সবার আছে। এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের কমিটির কলেবর এখন পর্যন্ত বাড়ানোর চিন্তাভাবনা নেই। কমিটি ৮১ জনেরই থাকবে। বর্তমান কমিটিতেই একটি সদস্য পদ ও প্রেসিডিয়ামে দুটি সদস্যের পদ খালি আছে। সেগুলো এই মুহূর্তে পূরণ হবে না। সম্মেলনের মধ্য দিয়েই আমরা পুরো কমিটি করে ফেলব, এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন কোনো এমপি দলের উপজেলা পর্যায়ে পদপ্রার্থী হতে পারবেন না। এটা আমরা নিরুৎসাহিত করছি। তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বর্তমান মঞ্চে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। নৌকার আদলে মঞ্চ হচ্ছে। সম্মেলন জাঁকজমকপূর্ণ হবে না। তবে মুজিববর্ষ জাঁকজমকপূর্ণ হবে। বর্ণিল না হলেও সমাগম বেশি হবে। সম্মেলনে দেশের প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনের মাধ্যমে চায় না অভিযোগ করে কাদের বলেন, তারা আন্দোলনের মাধ্যমেই তাকে মুক্ত করুক। এটা দেখার অপেক্ষায় আছি। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।