বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সংকট নেই, তবু লবণ নিয়ে যত গুজব

নিজস্ব প্রতিবেদক

পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও দেশে লবণ নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে। গুজবে কান দিয়ে লবণ কেনার হিড়িক পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। রাজধানীসহ সারা দেশেই ছিল একই অবস্থা। সুযোগ নিয়ে অধিক মুনাফার আশায় বেশি দামে বিক্রি করেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। তবে দেশে লবণের কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন-বিসিক। বরং চাহিদার চেয়ে ছয়গুণ বেশি লবণ মজুদ থাকার কথা বলেছে সংস্থাটি।

গুজব ছড়িয়ে অতিরিক্ত দামে লবন বিক্রির অভিযোগে গতকাল সারাদেশে ১৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে শতাধিক ব্যবসায়িকে করা হয়েছে জরিমানা। অন্যদিকে, তথ্য অধিদফতর থেকে এক প্রেস নোটে জানানো হয়, ‘একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশে গুজব ছড়াতে লিপ্ত রয়েছে। সম্প্রতি দেশে লবণের প্রাপ্যতা নিয়েও গুজব ছড়ানোর একটি অপচেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে এবং ডিসেম্বর মাসেই দেশে উৎপাদিত নতুন লবণ বাজারে আসবে। বর্তমান মজুদের সঙ্গে যোগ হবে নতুন লবণ। ফলে দেশে লবণের কোনো সংকট নেই বা এমন কোনো সম্ভাবনাও নেই। লবণ নিয়ে কিংবা অন্য কোনো বিষয়ে কোনো ব্যক্তি বা মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা অন্য যে কোনোভাবে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে দেশে লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য পুলিশকে দোকানে দোকানে গিয়ে তল্লাশি চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। লবণ মিল মালিক সমিতির নেতা জানিয়েছেন, দেশে লবণের কোনো ধরনের ঘাটতি  নেই। বর্তমানে তিন লাখ মেট্রিক টনের ওপরে লবণ উদ্বৃত্ত।

দেশে লবণের কোনো ঘাটতি নেই : দেশে লবণের কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন-বিসিক। সংস্থাটির দাবি- বর্তমানে দেশে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি লবণ মজুদ রয়েছে। লবণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও পরিবেশনের জন্য বিসিকের প্রধান কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০২-৯৫৭৩৫০৫। সম্প্রতি লবণ নিয়ে একটি অসাধু চক্র বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে তা থেকে মুনাফা লোটার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে বিসিক। গতকাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান। বিসিকের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়- লবণ চাষিদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সরকারের সার্বিক সহায়তার ফলে লবণ উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের লবণ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রেকর্ড পরিমাণ ১৮ লাখ ২৪ হাজার টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে লবণের মজুদের পরিমাণ ৬ লাখ ৫০ হাজার টন। বিসিক জানিয়েছে- চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের লবণ মৌসুমে লবণ চাষিরা লবণ চাষ শুরু করেছে। বর্তমানে দেশে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি লবণ মিলে মজুদ রয়েছে। তবুও একটি মহল লবণ ঘাটতি সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে দেশে লবণের কোনো সংকট নেই। বর্তমানে সংকট হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই। এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে অবগত করানোর জন্য বিসিকের জেলা কার্যালয়গুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

৯৯৯-এ ফোন করার অনুরোধ পুলিশের : পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা জানান, লবণের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে এমন একটি গুজব ছড়িয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, দেশে ৬ লাখ টন লবণ মজুদ রয়েছে, যা আমাদের চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। তাই লবণের মূল্যবৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই দেশের জনসাধারণকে গুজবে কান না দিতে ও বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের কোথাও লবণের অতিরিক্ত দাম চাওয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে অথবা নিকটস্থ পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হলো।

লবণ ইস্যুতে পুলিশকে মাঠে নামার নির্দেশ : দেশে লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে তাই পুলিশ সদস্যদের দোকানে দোকানে গিয়ে তল্লাশি চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-কমিশনার (অপারেশনস) মো. মনির হোসেন ওয়ারলেসে পুলিশ সদস্যদের এই নির্দেশ দেন। ডিএমপির একাধিক ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওসিরা বলছেন, নির্দেশনা পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার বিভিন্ন দোকানে গিয়ে লবণের মজুদের খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিশ। সঠিক দামে লবণ বিক্রি করছেন কিনা তা মনিটরিং করা হচ্ছে। ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার (অপারেশনস) মো. মনির হোসেন জানান, লবণ নিয়ে গুজব বন্ধে ডিএমপির ক্রাইম ডিভিশনের ৮ ডিসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা ৫০ থানার ওসিকে এ বিষয়ে অবহিত করেন। ওসিরা তাদের থানা এলাকায় প্যাট্রোল মনিটরিং শুরু করেন। লবণ নিয়ে গুজব ছড়িয়ে কেউ যেন ফায়দা লুটতে না পারে সে বিষয়ে আমরা মনিটরিং করছি।

বেশি দামে লবণ বিক্রি করায় জরিমানা : বেশি দামে লবণ বিক্রি করায় রাজধানীতে ১৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ ছাড়া সাভারে আরও পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার পাশাপাশি দুটি দোকান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার তথ্যও জানিয়েছে সংস্থাটি। ভোক্তা অধিকার সূত্র জানায়, রাজধানীর ইস্কাটনে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রি করায় দুই দোকানকে ৩০ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন সংস্থার ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুম আরেফিন ও তাহমিনা আক্তার। আর যাত্রাবাড়ীতে সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান চার প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অন্যদিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে সাভারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, লবণের কোনো ঘাটতি নেই। এর পরেও অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রি করায় আমরা জরিমানা করছি। এ ছাড়া আমরা দোকানদারদের বলছি, আপাতত ১ কেজির বেশি লবণ বিক্রি না করতে। লবণ নিয়ে যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, এই গুজব প্রতিরোধ করতে হলে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে বলে মন্তব্য তার।

দেশে লবণের ঘাটতি নেই, উদ্বৃত্ত লবণে চলবে আরও দুই মাস

কক্সবাজার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দেশে লবণের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে, কোনো ধরনের ঘাটতি নেই। বর্তমান যে পরিমাণ লবণ উদ্বৃত্ত রয়েছে তা দিয়ে আরও অন্তত দুই মাস চলবে। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী লবণের সংকট দেখিয়ে দাম বৃদ্ধির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ইতিমধ্যে একটা কুচক্রীমহল লবণের কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে অপপ্রচার চালিয়েছে। তারা মূলত এ শিল্পকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সভায় মিল মালিকরা এসব কথা বলেন। সমিতির সভাপতি নুরুল কবির বলেছেন, বর্তমানে তিন লাখ মেট্রিক টনের ওপরে লবণ উদ্বৃত্ত।

কৃত্রিম সংকটের চেষ্টা, ১০ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা : নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট জানিয়েছেন, পিয়াজের পর সিলেটে এবার লবণ নিয়ে লঙ্কাকা  ঘটেছে। কৃত্রিম সংকট আর গুজব ছড়িয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এক রাতে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। তবে প্রশাসনের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে টেনে ধরা সম্ভব হয়েছে গুজবের রাশ। কৃত্রিম সংকট তৈরি আর অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রির দায়ে সিলেটে অন্তত ১০টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে প্রায় এক টন লবণ।

লবণের কোনো সংকট নেই : নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম জানিয়েছেন, মাঠে এবং বিভিন্ন বাজারজাত কোম্পানির কাছে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টন লবণ মজুদ রয়েছে জানিয়ে বিসিক-কক্সবাজারের উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আহমেদ জানান, লবণের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। কেউ ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়ে গুজব সৃষ্টি করেও কোনো লাভ হবে না। কারণ আগামী এক মাসের মধ্যে শুরু হবে লবণ উৎপাদনের নতুন মৌসুম। ফলে বর্তমান দামের চেয়ে লবণের দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা জানিয়েছেন, খুলনায় পিয়াজের পর এবার পাইকারি ও খুচরা বাজারে লবণের দাম বৃদ্ধির গুজব ছড়িয়েছে। আতঙ্কিত ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন দোকানে। এদিকে, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বাজারে প্রচুর পরিমাণ লবণ মজুদ রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকারি ব্যবসা কেন্দ্র নিতাইগঞ্জে লবণ বিক্রির হিড়িক পড়ে গেছে। এদিকে নিতাইগঞ্জে ‘ফেসবুকে’ দাম বৃদ্ধির গুজব ছড়ানোর অভিযোগে আবদুল করিম নামের এক যুবককে আটক করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ।

এ ছাড়াও আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বগুড়ায় লবণের মূল্যবৃদ্ধি ও সংকট নিয়ে গুজব ছড়িয়েই বাজার অস্থিতিশীল করে তোলার অপচেষ্টা করেছে প্রতারকরা। জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসন থেকে শহরের বিভিন্ন বাজার এলাকায় গুজবে কান না দিতে মাইকিং করছে। রংপুরেও গুজবের ওপর ভিত্তি করে আকস্মিকভাবে লবণ কেনার হিড়িক পড়ে গেছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে লবণের কোনো সংকট নেই বলে মাইকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বরিশালে পিয়াজের ঝাঁজ না কমতেই এবার লবণ নিয়ে শুরু হয়েছে লঙ্কাকা । হঠাৎ করে লবণের দাম বাড়ার গুজবে তাৎক্ষণিক দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেক অসাধু ব্যবসায়ী। কুমিল্লায় লবণ নিয়ে ব্যাপক গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল দিনভর বিভিন্ন হাটবাজার ও সুপারশপে অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। গোপালগঞ্জে ‘দুইশ টাকা হবে লবণের কেজি’-এমন গুজবে কোটালীপাড়া উপজেলার ঘাঘর বাজারসহ গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় লবণ কেনার হিড়িক পড়েছে। শেরপুরে লবণ নিয়ে গুজব চলছে। ফলে লবণ ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও লবণের দাম বেড়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এই তথ্যের ভিত্তিতে বাজার মনিটরিংয়ে নামে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নেত্রকোনায় কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা করায় খালিয়াজুরী সদর এলাকা থেকে হায়দার চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ীকে পুলিশ আটক করেছে। হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরীবাজার এলাকার রহমান এন্টারপ্রাইজ থেকে প্রায় ২০ বস্তা লবণ জব্দ ও ৪ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। অতিরিক্ত লবণ কেনায় পটুয়াখালীতে দুজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত অর্থদ  প্রদান করেছে। নওগাঁর বিভিন্ন বাজারে লবণ কেনার হিড়িক পড়ে যায়। এই সুযোগে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বাড়িয়ে দিয়েছেন লবণের বাজার। দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় লবণের দাম বৃদ্ধির গুজব নিয়ে লঙ্কাকা  হয়েছে। শহরের উপশহর বাজার, হাউজিং মোড়, বাসস্ট্যান্ড কাঁচা বাজার, বাহাদুর বাজারসহ বিভিন্ন উপজেলায় সকালের দিকে অনেক দোকানদার লবণ নাই বলে ক্রেতাদের ফিরিয়ে দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মূল্যবৃদ্ধির গুজব আতঙ্কে মাদারীপুরের বিভিন্ন বাজারে অগ্রিম লবণ কেনার হিড়িক পড়েছে। বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে লবণ বিক্রির অভিযোগে কালকিনির ফাসিয়াতলা বাজারের দাস স্টোরের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পঞ্চগড়ে লবণ কেনার ধুম পড়েছে। দোকানে দোকানে বাড়ছে ভিড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে লবণের সংকট এবং দাম বাড়ার কথা হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে। গতকাল জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিকালের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। কিশোরগঞ্জে বেশি দামে লবণ বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সিরাজগঞ্জে লবণ কেনার হিড়িক পড়েছে। দাম বাড়ার আশঙ্কায়  ক্রেতারা জনপ্রতি ৫ থেকে ১০ কেজি করে লবণ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

কুমিল্লা জেলার ১৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ১৬ জন সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) এবং ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিলে পুরো জেলায় মোট ৪১ জনের টিম অভিযান চালায়। এ সময় প্রায় ৪০টি মামলায় ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়াও চৌদ্দগ্রামে একজনকে সাত দিনের কারাদ- দেওয়া হয়। পিরোজপুরে বেশি দামে লবণ বিক্রির অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বগুড়ায় লবণ দ্বিগুণ দামে বিক্রির অভিযোগে বগুড়ায় ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর