বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কমিশন নিয়ে ওষুধ লেখার কারণে ডাক্তারি পেশা নষ্ট হচ্ছে : হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

কমিশন নিয়ে প্রেসক্রিপশনে বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ লেখার কারণে ডাক্তারি পেশা নষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে হাই কোর্ট। গতকাল ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের দাখিল করা প্রতিবেদনের ওপর শুনানির সময় বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন হাই কোর্টের সাবেক বিচারপতি ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি আর বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলে, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের ক্ষেত্রে ফার্মেসিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা পর্যাপ্ত নয়। অল্প সাজায় সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। একই ফার্মেসিতে একাধিকবার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেলে নিয়মিত মামলা করবেন। আদালত আরও বলে, ভেজাল ওষুধের সঙ্গে জড়িতদের যাবজ্জীবন বা মৃত্যু হওয়া উচিত। ভেজাল-মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ, বাজারজাত ও বিক্রির কারণে যাদের জেল-জরিমানা হয়েছে, তারা যদি আবার একই ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত হন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করতে নির্দেশনা দিয়েছে হাই কোর্ট। এদিন আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও ওষুধ শিল্প মালিক সমিতিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে প্রতিবেদন দিতে ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করে। আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযান চলাকালে ১৩ হাজার ৫৯৩টি ফার্মেসি পরিদর্শন করে ৫৭২টি মামলা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নকল, ভেজাল ওষুধ সংরক্ষণের দায়ে ২টি ফার্মেসি সিলগালা করা হয়। এ ছাড়াও একই সময়ে ৩৪ কোটি ৭ লাখ ৬৯ হাজার ১৪৩ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়।

সর্বশেষ খবর