মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

আত্মহত্যা করে প্রতিবাদ সৌদি ফেরত আসমার!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আত্মহত্যা করে প্রতিবাদ জানালেন মানসিক যন্ত্রণার শিকার সৌদি আরব ফেরত আসমা বেগম (১৯)। সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের দেওয়ান আলীর মেয়ে আসমা বেগম ২০ নভেম্বর আত্মহত্যা করে মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি নেন। আসমাকে হারিয়ে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

পারিবারিক সূত্র জানায়, আসমার পরিবার সিলেটে ভাড়া বাসায় থাকতো। সংসারে সচ্ছলতার আশায় আসমা ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরি নেন। সেখানে প্রায় তিন বছর চাকরি করার পর মাস ছয়েক আগে পাড়ি জমান সৌদি আরব। সেখানে গিয়ে তিন মাস ১৮ হাজার টাকা করে বাড়িতে পাঠান। এরপর থেকে তাঁর ওপর নেমে আসে অমানসিক নির্যাতন। বাঁচতে গিয়ে সেখানকার পুলিশের কাছে ধরা দেন। ২৭ অক্টোবর সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেন। দেশে এসেও অস্বস্তিতে ছিলেন আসমা। মানসিকভাবে ভেঙে পড়া আসমা আরও যন্ত্রণায় পড়েন মানুষের নানা কথায়। অবশেষে আত্মহত্যা করে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি নিলেন আসমা। ২০ নভেম্বর রাতে বোন জামাই হোসেন মিয়ার নন্দীপাড়ার বাড়িতে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। আসমার বোন আনোয়ারা বেগম জানান, চিপস আনার কথা বলে তাকে বাইরে পাঠায় আসমা। এসে দেখেন দরজা আটকানো। পরে ঘরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে আসমাকে উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আসমার মা রহিমা বেগম জানান, সৌদি আরব থেকে আসার পরই আসমাকে মনমরা দেখা যায়। সৌদিতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল সে। সে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। কালিকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যান মো. শরাফত আলী জানান, হয়তো মানসিক যন্ত্রণার কারণেই সে আত্মহত্যা করেছে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটু জানান, মেয়েটি মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে ছিল। মানসিক তৃপ্তির জন্য তাকে বোন জামাইয়ের বাড়িতে পাঠানো হলে সেখানেই সে আত্মহত্যা করে। মানসিক যন্ত্রণা থেকেই সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর