বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কেউ কেউ অনিয়মকে নিয়ম করতে চান : দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

কেউ কেউ অনিয়মকে নিয়ম করতে চান : দুদক চেয়ারম্যান

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, কেউ কেউ অনিয়মকে নিয়ম করতে চান। এটা হবে না। আবার কোনো অবস্থাতেই একজন সৎ মানুষ যেন মামলার আসামি না হন। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান  কার্যালয়ে ট্রেনিং অন পাবলিক প্রকিওরমেন্ট প্রসিডিওর অ্যান্ড প্রাকটিসেস ফর এসিসি অফিশিয়াল শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ক্রয় প্রক্রিয়ায় অনিয়ম-দুর্নীতি-দীর্ঘসূত্রিতা-প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি-বরাদ্দ বৃদ্ধি ইত্যাদি নানা অভিযোগ থাকে। পাবলিক টেন্ডারে ক্রয় প্রক্রিয়ায় ঠিকাদার-প্রকৌশলী-প্রকিউরমেন্ট এন্টিটির যে বা যারা এই প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করেছেন, কেবল তিনি বা তারাই জবাবদিহি করবেন। অন্য কেউ নন। আমাদের কারও ভুলে যেন কোনো মানুষের সম্মান হানি না হয়। তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আইনি ক্ষমতার প্রয়োগ করবেন কিন্তু অপপ্রয়োগ যেন না হয়। মনে রাখবেন আইন সবার জন্যই সমভাবে প্রযোজ্য। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, সেন্ট্রাল প্রকিওরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের মহাপরিচালক মো. আলী নূর, দুদকের প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল ও সিপিটিইউর পরিচালক শীষ হায়দার চৌধুরী। গতকাল শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ ১ ডিসেম্বর শেষ হবে। কমিশনের পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক ও উপসহকারী পরিচালক পদমর্যাদার ৪০ জন কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, প্রজেক্ট প্রোফাইল থেকে শুরু করে এস্টিমেশন এবং সর্বোপরি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপ নির্ধারিত বিধি-বিধান অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ বিষয়গুলো আপনারা জানবেন এবং এ জাতীয় অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করবেন। এসব অনুসন্ধান বা তদন্তের মাধ্যমে কর্ম প্রক্রিয়ার পদ্ধতিগত ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো চিহ্নিত করার সুযোগও রয়েছে। এসব ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করতে কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারকে অনুরোধ জানানোর আইনি ম্যান্ডেটও কমিশনের রয়েছে।

সর্বশেষ খবর