সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রে আওয়ামী লীগ নম্বর ওয়ান

নিজস্ব প্রতিবেদক

অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রে আওয়ামী লীগ নম্বর ওয়ান

অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চায় আওয়ামী লীগ দেশে নম্বর ওয়ান বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আমাদের ১০টি সাংগঠনিক জেলা সম্মেলন সুন্দরভাবে সফল হয়েছে। উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে দুই-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু জেলা, মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে এমন কিছু হয়নি যা খারাপ খবরের শিরোনাম হতে পারে। এমনকি কমিটি ঘোষণার সময় স্বাভাবিক যে বিশৃঙ্খলা হয়ে থাকে তাও হয়নি। আমি দাবি করব এখনো অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চায় আওয়ামী লীগ এ দেশে নম্বর ওয়ান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এ দেশে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং ঐক্যবদ্ধ। গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২১তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির বৈঠকে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ উপকমিটির সদস্যরা। এছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নবনির্বাচিত সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এবং সবার সহযোগিতায় চারটি সহযোগী ও ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তার ঘোষিত শুদ্ধি অভিযান, সেই শুদ্ধি অভিযানের সঙ্গে প্রাসঙ্গিকতা ও সঙ্গতি রেখে একদিকে আমাদের প্রত্যেকটি সম্মেলন যেমন সুশৃঙ্খল এবং স্বতঃস্ফূর্ত হয়েছে তেমনি নেতৃত্ব নির্বাচনেও শৃঙ্খলার পরাকাষ্ঠা প্রদর্শিত হয়েছে। আমাদের দল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সলিডলি ঐক্যবদ্ধ, তা প্রমাণিত হয়েছে।

এই কয়েকটি সম্মেলনের সফল সমাপনীর মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণিত হয়েছে। জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে আমরা দেশের জনগণের কাছে ক্লিন ইমেজের বার্তা দিতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন-পুরনোর সমন্বয়ে আমরা আমাদের দলকে ঢেলে সাজাব। প্রযুক্তির সঙ্গে ঐতিহ্য, আইডিয়ালিজমের সঙ্গে রিয়ালিজম এবং আধুনিকতার সঙ্গে বিশ্বাসের ব্যালেন্স করে আমরা আমাদের আওয়ামী লীগকে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমরা এমনভাবে পার্টিকে সাজিয়ে নিচ্ছি যাতে মুজিববর্ষ উদযাপন এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আমরা সারা দুনিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি। সেখানে আন্তর্জাতিকভাবেও বিভিন্ন ইভেন্টে বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ, সরকারপ্রধান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। কাজেই আমরা সেভাবে আমাদের দলকে প্রস্তুত করতে চাই।

তিনি বলেন, আগামী দুই বছর আমাদের অলস হয়ে ঘরে থাকার কোনো সুযোগ নেই। পুরো দুটো বছরই আমাদের কর্মযজ্ঞ, পুরো দুটো বছরই কোনো না কোনো কর্মসূচির মধ্যে আমাদের থাকতে হবে। এ জন্য আমাদের নেতা-কর্মীদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাই। যেন নেত্রীর ডাকে আমাদের সব সংগঠন শৃঙ্খলার সঙ্গে শক্তি প্রদর্শন করতে পারি। সম্মেলনে আমরা সাজসজ্জার দিকে না গিয়ে, আমাদের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা, সৌন্দর্য এবং শৃঙ্খলা বৃদ্ধির জন্য আমাদের কর্মতৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমরা একটা সুশৃঙ্খল জাতীয় কাউন্সিল করতে চাই। তাই যাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে তা যেন সঠিকভাবে পালন করা হয়। এতে যেন কোনো গাফলতি এবং আমাদের দলের সুনাম ও ভাবর্মূতি ক্ষুণœ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

সর্বশেষ খবর