গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে ডেসকো (ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি)। আর আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় কিলোওয়াট ঘণ্টা প্রতি ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে ডিপিডিসি (ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড)।
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিবি) ভবনের অডিটোরিয়ামে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে ডেসকো ও ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ দাম বৃদ্ধির এই প্রস্তাব করে। সকালে ডিপিডিসি এবং দুপুরে ডেসকোর মূল্যবৃদ্ধির ওপর এই গণশুনানি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়। বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, কমিশনের সদস্য রহমান মুর্শেদ মিজানুর রহমান ও মাহমুদউল হক ভূঁইয়া শুনানি করেন। এ শুনানিতে ক্যাবসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে ডেসকো কর্তৃপক্ষ বর্তমান পাইকারি দর বিবেচনায় দাম সমন্বয় করার আবেদন করে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গণশুনাতিতে এ প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ডেসকোর এমডি শাহীদ সারোয়ার। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে শাহীদ সরোয়ার বলেন, আবাসিক গ্রাহকের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটে এক টাকা ১২ পয়সা হারে লোকসান হচ্ছে। এ কারণে দাম বৃদ্ধি প্রয়োজন। অন্যদিকে ডিপিডিসি ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় কিলোওয়াট ঘণ্টা প্রতি এক টাকা ২৪ পয়সা করার প্রস্তাব করে। তবে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি এই দাম শূন্য দশমিক ৮৭ পয়সা করার কথা বলেছে।