মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কতিপয় পুলিশ মনে করে দুর্নীতি করলে কিছু হবে না : হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

কতিপয় পুলিশ সদস্য দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বানিয়ে নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে হাই কোর্ট। আদালত বলেছে, এদের সংখ্যা কোনোভাবেই ৫ শতাংশের বেশি হবে না। ওইসব পুলিশ সদস্য মনে করে তারা দুর্নীতি করলে তাদের কিছু হবে না। এসব পুলিশ সদস্যের কারণে পুরো বাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণœ হচ্ছে। গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে।

এদিকে উত্তরা (পূর্ব) থানার এএসআই মোস্তাফিজুর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার অভিযোগ ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজি) নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে আইজির কাছে করা আবেদন নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। সোনালী ব্যাংক মতিঝিল শাখার কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল ও এক নারী কর্মকর্তার করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেয় আদালত। রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও ইসমাইল হোসেন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। এর আগে গত ২৭ জুন রাত ১১টায় মতিঝিল শাখার সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ইব্রাহিম খলিল তার এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে উত্তরার ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্ট থেকে রাতের খাবার শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় নেমপ্লেটবিহীন এক পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহিম খলিলকে উত্তরা পূর্ব থানার এএসআই মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে নিয়ে যান। ওই পুলিশ কর্মকর্তা ইব্রাহিমকে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় ইব্রাহিম আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে এএসআই মোস্তাফিজ ২০ হাজার টাকা দাবি করে ইব্রাহিমের কাছে। তবে, আহত অবস্থায় ইব্রাহিম ৬ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পান। এর কিছুদিন পর পুলিশের ওই এএসআই ইব্রাহিমের নারী কলিগকে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে বলেন এবং দেখা করলে অবশিষ্ট ১৪ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে না বলে জানান। এরপর এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিএমপি কমিশনার ও পুলিশের আইজি বরাবর অভিযোগ করেন ইব্রাহিম। একই সঙ্গে নারী কলিগের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তার কলরেকর্ডিং, মেডিকেল সার্টিফিকেটও দাখিল করা হয়। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২৫ জুলাই ইব্রাহিম হাই কোর্টে রিট দায়ের করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর