মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের দৃপ্ত শপথে বিজয় দিবস উদযাপন

সাভার ও জাবি প্রতিনিধি

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের দৃপ্ত শপথে বিজয় দিবস উদযাপন

লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মহান বিজয়ের ৪৮তম বার্ষিকীতে গতকাল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার দৃপ্ত অঙ্গীকার নিয়ে জাতি স্মরণ করেছে তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন উদ্যাপন করেছে মহান বিজয় দিবস। সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ রুখে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষশক্তির হাত ধরে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার প্রত্যয়ে দেশজুড়ে সব স্মৃতিসৌধে ছিল লাখো মানুষের ঢল। বর্ণিল শোভাযাত্রাজুড়ে ছিল ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান আর বিজয়ের গান। রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত, দোকানপাট সবখানেই ছিল জাতীয় পতাকার লাল-সবুজের উৎসব। তরুণ-তরুণীদের গালে-কপালে রংতুলির আঁচড়ে স্থান পেয়েছে জাতীয় পতাকা। পোশাকেও ছিল লাল-সবুজের সরব উপস্থিতি। বাতাসে ছিল মুক্তিযুদ্ধ ও দেশাত্মবোধক গানের কথা। অলিগলিতে ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সেই কালজয়ী ভাষণ- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ দিনের শুরুতে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি। সকাল সাড়ে ৬টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে পুনরায় বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের পর জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সন্তানরা। ভিআইপিদের শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হয় সবার জন্য। ফুলে ফুলে ভরে উঠে শহীদবেদি।

স্মৃতিসৌধে লাখো মানুষের ঢল : রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে স্মৃতিসৌধে। সকাল ১০টার দিকে দলের পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর পক্ষে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। শ্রদ্ধা জানান গণফোরাম সভাপতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গণ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা কলেজ, সিদ্বেশ্বরী কলেজ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইকবাল সিদ্দিক কলেজ গাজীপুর, ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, শিল্পপুলিশ-১, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, সিআরপি, জাকের পার্টি, কবি জসীমউদ্দীন হল-ঢাবি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মওলানা ভাসানী হল-জাবি, মীর মশাররফ হোসেন হল-জাবি, জাহানারা ইমাম হল-জবি, আল-বিরুনি হল-জাবি, বেগম সুফিয়া কামাল হল-জাবি, কর্মচারী সমিতি-জাবি, অফিসার সমিতি-জাবি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায় শিক্ষক সমিতি, কেন্দ্রীয় গোপ্রজনন ও দুগ্ধ খামার সাভার, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, সাভার উপজেলা পরিষদ, মানব চেতনা সমাজকল্যাণ সংস্থা, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, সোনালী ব্যাংক লি., বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লি., জনতা ব্যাংক গণতান্ত্রিক কর্মচারী ইউনিয়ন, কর্মসংস্থান ব্যাংক, জনতা ব্যাংক লি., জনতা ব্যাংক শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন, অগ্রণী ব্যাংক লি., অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী সংসদ, সিবিএ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সজাগ ধামরাই, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন, স্বাধীনতা সংস্কৃতিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, আশুলিয়া প্রেস ক্লাব, সাভার প্রেস ক্লাব, শিমুলিয়া নবীন সংঘ, বিমান পোলট্রি কমপ্লেক্স, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর, কারিতাস বাংলাদেশ, কারিতাস প্রচেষ্টা প্রকল্প, ন্যাচারাল ডেনিমস লি., বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, তাঁতী লীগ ঢাকা জেলা উত্তর, সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় যুব জোট, ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন, ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, ঢাকা জেলা ছাত্রদল, ঐক্য ন্যাপ, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগ, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ, জাতীয় শ্রমিক লীগ আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ-আশুলিয়া থানা কমিটি, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকল্যাণ সমিতি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্তৃপক্ষ, ইআইটিএস, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, রেডিমেড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, আশুলিয়া থানা ছাত্রদল, আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দল, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, বাসদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র, ঢাকা আইনজীবী সমিতি, বিআইডব্লিউটিসি, বিএনডিএল, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ, বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ, আশুলিয়া ফার্মেসি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান। স্বাধীনতার এই মহান স্থপতির প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও মোজাফফর হোসেন পল্টু, সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক ও আবদুল মতিন খসরু, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তাঁর স্ত্রী রাশিদা খানম গতকাল বিকালে বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বেলা ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বঙ্গভবনের সবুজ লনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তাঁর সহধর্মিণী রাশিদা খানম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। বাসস জানায়, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, এমপি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া তিন বাহিনীর প্রধান, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সম্পাদক, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার, শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট নাগরিকরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বিজয় দিবসের কেক কাটেন।

কুচকাওয়াজ : এর আগে সকাল ১০টায় জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে বিজয় দিবস কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সালাম গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান।

দিবসটি উপলক্ষে চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা নৌ অঞ্চলের সব জাহাজ ও ঘাঁটি ও জেটিতে নৌবাহিনী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। চট্টগ্রাম নেভাল জেটিতে বানৌজা সমুদ্র অভিযান সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। খুলনা নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও শহীদ বীরবিক্রম মহিবুল্লাহর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও গার্ড অব অনার প্রদান করেন। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে খুলনা বানৌজা তিতুমীর ও বাগেরহাটে অবস্থিত বানৌজা মোংলা ঘাঁটিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা কয়েকদিন আগে থেকেই আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সাজানো হয়েছে। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশু সদনসহ ওই ধরনের প্রতিষ্ঠানে এদিন উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

টুঙ্গিপাড়ায় শ্রদ্ধা : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় তারা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে নেতারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্য ও শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে.কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর