বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

গণপূর্তের ৮ প্রকৌশলীর অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণপূর্ত অধিদফতরের দুই অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মঈনুল ইসলাম ও মোসলেহ উদ্দীনসহ ৮ প্রকৌশলীর অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সূত্র জানিয়েছে, কমিশনের অনুসন্ধানের মুখে থাকা অন্যরা হলেন প্রকৌশলী আশরাফুল আলম,  মো. সামছুদ্দোহা, মো. নজিবুর রহমান, মো. আবুল খায়ের, মো. শামীম আখতার ও মো. শফিকুল আলম। এদের মধ্যে একাধিক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, দুর্নীতি ও অনিয়মের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীমকে সহযোগিতা, অবৈধ সম্পদ অর্জন, বিদেশে অর্থ পাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গণপূর্তের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দেসহ ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে তলব করা হয়েছে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আজ সকালে গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে, দুই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রোকনউদ্দিন ও আবদুল মোমেন চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন চাকমাকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ, মোহাম্মদ ফজলুল হক, আবদুর কাদের চৌধুরী ও মো. আফসার উদ্দিনকে আগামীকাল হাজির হতে বলা হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইলিয়াস আহমেদ, ফজলুল হক ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলী আকবর সরকারকে ২৩ ডিসেম্বর দুদকে তলব করা হয়েছে। কমিশনের একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এ বিষয়ে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন ১০ ডিসেম্বর তাদের চিঠি দিয়েছেন। দুদক সূত্র জানিয়েছে, এই প্রকৌশলীদের সঙ্গে যোগসাজশে ঠিকাদার জি কে শামীম গণপূর্তের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোকান্ডে  জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়েছে। দুদকের এসব মামলায় ঠিকাদার জি কে শামীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ অনেকেই আসামি হয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে শামীমের কাছ থেকে তার বিভিন্ন সহযোগীর তথ্য পেয়েছে দুদক।

সর্বশেষ খবর