বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
কেরানীগঞ্জে কারখানায় আগুন

দগ্ধ পাঁচজন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার কেরানীগঞ্জে আগুনে দগ্ধদের মধ্যে আইসিইউতে থাকা পাঁচজনের অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত। এর মধ্যে দুজনের লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে। তারা নিজ থেকে শ্বাস নিচ্ছেন। নড়াচড়া করছেন। তবে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। সোমবার ফিরোজ নামে একজনের ভেন্টিলেশন খুলে নেওয়া হয়েছে। গতকাল আরও একজনের খুলে রাখা হয়। যদিও তারা শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, ৪৮ ঘণ্টার আগে কারও বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না। গত ১১ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ায় প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকান্ডে  দগ্ধ ৩২ জনের মধ্যে মারা গেছেন ১৮ জন। এর মধ্যে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৭ জন। ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। দগ্ধদের মধ্যে সাজু (১৯), ফিরোজ (৩৯), সোহান (২৫), আবদুর রাজ্জাক (৪৫) ও সোহাগ (১৯) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন। এরা প্রত্যেকেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এ ছাড়া আরও ৮ জন ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন আবদুর রাজ্জাক (৪৫)। তিনি কেরানীগঞ্জ প্রাইম প্লেট অ্যান্ড প্লাস্টিক কারখানার পাশেই পরিবার নিয়ে থাকতেন। প্রোডাকশন কর্মী হিসেবে কারখানায় কাজ করতেন। বাসার পাশে কারখানা হওয়ায় প্রতিদিন দুপুরে এসে পরিবারের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করতেন। ঘটনার দিনেও তিনি স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়ে আবার কাজে যান।

শ্রমিক নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটির কারখানা পরিদর্শন : গাজীপুর সদর উপজেলার কেশরিতা এলাকায় লাক্সারি ফ্যান কারখানার অগ্নিকান্ডে  ১০ জন নিহতের ঘটনায় গাজীপুর জেলা প্রশাসক গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা গতকাল বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত কমিটির প্রধান কারখানা কর্তৃপক্ষ ও ভবনের মালিক উভয়কেই এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেন। তদন্ত কমিটি ঘটনার সময় বেঁচে যাওয়া শ্রমিক সিফাতের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি তদন্ত কমিটির কাছে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেন।

এ সময় তদন্ত কমিটির প্রধান ও গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীনুর ইসলাম, গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের গাজীপুরের উপ-মহাপরিদর্শক মো. ইউসুফ আলী, গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ, গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার দিনই গঠিত এই কমিটি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার কথা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর