শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

এখন চোখ কাউন্সিল অধিবেশনে

নিজস্ব প্রতিবেদক

এখন চোখ কাউন্সিল অধিবেশনে

বর্ণিল আয়োজনে শেষ হলো আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। গতকাল বিকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষ হওয়ায় এখন সবার দৃষ্টি আজকের দ্বিতীয় কাউন্সিল অধিবেশনের দিকে। কী হবে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে? কারা আসছেন নেতৃত্বে? কারা পাচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দিবস পালনের গুরুদায়িত্ব? তা জানার অপেক্ষায় সবাই। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সম্মেলনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব কাউন্সিল অধিবেশন বসবে। এতে শুধু দলের কাউন্সিলররা উপস্থিত থাকবেন। এ অধিবেশনেই সাড়ে সাত হাজার কাউন্সিলর তাদের নতুন নেতা নির্বাচন করবেন। আজকের কাউন্সিল অধিবেশনে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন দলের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। অপর দুই সদস্য হলেন- উপদেষ্টা সদস্য ড. সাইদুর রহমান ও ড. মশিউর রহমান।  এছাড়া অধিবেশনে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করবেন। এরপর দলের সংশোধিত ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হবে। এসব সাংগঠনিক কার্যক্রম শেষে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে দেওয়া হবে। রেওয়াজ অনুযায়ী কাউন্সিল অধিবেশনের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পাস করানোর পর নির্বাচন কমিশন নেতা নির্বাচনের দায়িত্ব নেবেন। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা সভানেত্রী ও সাধারণ  সম্পাদকের নাম প্রস্তাব ও সমর্থন করবেন। পরে কাউন্সিলরদের কণ্ঠভোটে তা পাস হলে নতুন নেতৃত্ব পাবে আওয়ামী লীগ। এরপর শুরু হবে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া। এর মধ্য দিয়ে ওঠে আসবে আওয়ামী লীগের আগামী তিন বছরের জন্য নতুন নেতৃত্ব। যদিও সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকছেন- এ বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েই সবার কৌতূহল। তবে এ পদে পরিবর্তন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে দ্বিতীয় মেয়াদে ওবায়দুল কাদেরই সাধারণ সম্পাদক থাকছেন বলে জানা গেছে। দলের সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদক পদ ছাড়াও প্রেসিডিয়াম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সম্পাদকীয় পদে কারা আসছেন, তা জানার আগ্রহেরও কমতি নেই আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সবার। বিগত দুটি সম্মেলনে নেতৃত্বে তেমন কোনো পরিবর্তন না এলেও এবার ব্যাপক রদবদল হবে বলে দলে আলোচনা আছে। এবারের নেতৃত্বে নতুন কোনো চমক থাকে কিনা, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা। অন্য সব রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধিরাও অপেক্ষায় আছেন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে কারা স্থান পাচ্ছেন। তাকিয়ে আছেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও। সূত্রমতে, দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যেতে নতুন অপেক্ষাকৃত তরুণ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতৃত্ব রাখার চিন্তাভাবনা করছেন দলীয় সভানেত্রী। কেন্দ্রীয় কমিটিতে কাদের সরিয়ে দেওয়া হবে, আর কাদের নিয়ে আসা হবে তার খসড়া করেছেন তিনি। ত্যাগী, শিক্ষিত ও ক্লিন ইমেজের নেতৃবৃন্দই আছেন দলীয় সভানেত্রীর অগ্রাধিকার তালিকায়। বিগত সময় যারা বিতর্কিত ও সাংগঠনিক অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, দলের ভাবমর্যাদা নষ্ট করেছেন  তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে না রাখার চিন্তাভাবনা চলছে। নেতৃত্বে কর্মীবান্ধব, দক্ষ সংগঠকদের আনা হচ্ছে বলে দলের সর্বত্র আলোচনা চলছে।

সর্বশেষ খবর