রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে দেশ ও জাতির আশা-আকাক্সক্ষার কেন্দ্রস্থল। জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি মূল্যবোধ লালন, নীতি-নৈতিকতা, দেশপ্রেম উৎসারিত করার শ্রেষ্ঠ ক্ষেত্র এটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে যুক্তি ও সত্যের অনুসন্ধান, নতুন নতুন জ্ঞান সৃজন এবং মানব কল্যাণে তার ব্যবহার।
গতকাল দুপুরে রাষ্ট্রপতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
সমাবর্তন উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ছিল উৎসবমুখর। সমাবর্তনে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল ক্যাম্পাস। এবার ষষ্ঠ সমাবর্তনে ৪ হাজার ৪৭৮ জনকে স্নাতক, ২ হাজার ৫৩০ জনকে স্নাতকোত্তর, ৫ জনকে এম ফিল ও ৮ জনকে পিএইচডি এবং ১৭ জনকে পোস্ট-গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। পরীক্ষার ফলাফলে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ২৩ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রপতি শিক্ষকদের উদ্দেশ করে বলেন, শিক্ষক ও গবেষকদের জ্ঞান, দক্ষতা, প্রজ্ঞা ভবিষ্যৎ জাতি গঠনের নিয়ামক শক্তি। তিনি বলেন, শিক্ষকরা যখন আদর্শ থেকে দূরে চলে যান, তখন শিক্ষার্থীদের মধ্যে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে শিক্ষকরা জ্ঞান অর্জন ও বিতরণে নিবেদিত থাকবেন জাতি তা প্রত্যাশা করে। খুলনা অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ সুন্দরবন ও সামুদ্রিক সম্পদ সমৃদ্ধ বিশাল উপকূলের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের জীববৈচিত্র্য ও উপকূলীয় মূল্যবান সম্পদ বিষয়ে মনোনিবেশের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ের তালিকায় প্রবেশ করে এ বছর দেশের মধ্যে উদ্ভাবনীতে প্রথম ও গবেষণায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে। এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত ‘কালজয়ী মুজিব’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধুর সুবিশাল ম্যুরাল উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি। সমার্বতন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহ, সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান ও ট্রেজারার সাধন রঞ্জন ঘোষ বক্তৃতা করেন।
