বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে একা মাদক নির্মূল সম্ভব নয় : র‌্যাব ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক ও কলাপাড়া প্রতিনিধি, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) থেকে

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে একা মাদক নির্মূল সম্ভব নয় : র‌্যাব ডিজি

‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার পক্ষে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। এজন্য দরকার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। বাংলাদেশিরা আজ পর্যন্ত যেসব ঘটনায় একত্রিত হয়েছেন তা সম্ভব হয়েছে।

এই মাদক বেশি দিন চলবে না। আমরা এটা যৌথভাবে নির্মূল করব।’ গতকাল পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সি বিচে মাদকবিরোধী ম্যারাথন দৌড় উদ্বোধনকালে এসব বলেন র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) ড. বেনজীর আহমেদ। ‘দৌড়াও বাংলাদেশ’ শিরোনামে সি বিচে ১০ কিলোমিটার এ দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন পটুয়াখালী ও বরগুনার ৩০টি স্কুল-কলেজের ২ হাজার শিক্ষার্থী। মাদকবিরোধী ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে এই রেসের আয়োজন করে র‌্যাব। শিক্ষার্থীদের এ ধরনের খেলাধুলার মাধ্যমে মাদক থেকে দূরে রাখাই ম্যারাথন প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিচ ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন র‌্যাব ডিজি। অনুষ্ঠানে বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, র‌্যাব-৮-এর সিও আতিকা ইসলাম, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম, পটুয়াখালীর এসপি মাইনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ২০১৮ সালের ৩ মে র‌্যাব ‘চল যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ স্লোগানে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী যুদ্ধ ঘোষণা করে। সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে ১৩০ জন মাদক ব্যবসায়ী মারা যান। গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন ৩২ হাজার ৭৪৬ জন মাদক ব্যবসায়ী। উদ্ধার হয়েছে হেরোইন ৬৫ কেজি, ইয়াবা ১ কোটি ৪০ লাখ ৯৪ হাজার পিস, ফেনসিডিল ২ লাখ ৪১ হাজারের বেশি বোতল, বিদেশি মদ ১৫ হাজার ৫১০ বোতল, দেশি মদ ২ কোটি ২৩ লাখ ৬৫ হাজার লিটার।

র‌্যাব ডিজি বলেন, ‘নৌ ও সীমান্তবর্তী এলাকার যুবসমাজ যেন মাদকে না জড়ায় সে চেষ্টা র‌্যাব শুরু থেকে করে আসছে। যারা বলছেন আমরা মাদক নির্মূল করতে পারব না, তাদেরকে দেখিয়ে দেব আমরা মাদককে নির্মূল করেছি। আমরা মাদকের ছোবলে আর কোনো তরুণকে পড়তে দেব না।’ র‌্যাবপ্রধান বলেন, প্রতি বছর মাদকের পেছনে ১ লাখ কোটি টাকা অপচয় হয়। আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যদি মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সে ক্ষেত্রে মাদক নির্মূল করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে। তখন মাদকের বিরুদ্ধে এ যুদ্ধে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, ‘আমরাসহ অন্য সংস্থাগুলো নিয়মিত অভিযান চালিয়ে মাদক এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অপারেশনের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতার প্রতি জোর দিচ্ছি। এভাবে সচেতন করে যদি ডিমান্ড কমানো যায় তাহলে এমনিতেই সাপ্লাই কমে আসবে। আপাতত আমাদের টার্গেট মাদককে দুষ্প্রাপ্য করে দেওয়া। ৫০ টাকা পিস ইয়াবা এখন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। এতে এমনিতেই ডিমান্ড কমে আসবে।’

সর্বশেষ খবর