শিরোনাম
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বুকিং ফাঁদ থেকে রেহাই দেবে বিমান অ্যাপস

টিকিট কাটলে ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন যাত্রী, ট্রাভেল এজেন্সির ফাঁদ ছিঁড়ে লাভবান হবে বিমান

জয়শ্রী ভাদুড়ী

ট্রাভেল এজেন্সির বুকিং ফাঁদ থেকে বেরিয়ে যাত্রী সুবিধা ও লাভবান সংস্থায় পরিণত হতে চালু হচ্ছে ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস অ্যাপস’। আগামীকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অ্যাপস উদ্বোধন করবেন। অ্যাপসে টিকিট কাটলে যাত্রী পাবেন ১০ শতাংশ ছাড়। পাশাপাশি লাভের মুখ দেখবে দেশের পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই অ্যাপস চালু হলে ট্রাভেল এজেন্সির বুকিং ফাঁদ থেকে পুরোপুরি বের হয়ে আসবে বিমান। অ্যাপসের মাধ্যমে যাত্রীরা সরাসরি টাকা পরিশোধ করে টিকিট কাটতে পারবেন। অ্যাপসে টিকিট কাটলে যাত্রীদের ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার অ্যাপসটি উদ্বোধন করবেন। এই অ্যাপসের পাশাপাশি তিনি নতুন দুটি ড্রিমলাইনার উদ্বোধন এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের ছাড় দিয়েও বিমানের লাভ থাকবে। কারণ ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট কাটলে ৯ শতাংশ অর্থ দিতে হয় বিমানকে। এরপর গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের (জিডিএস) কারণে ট্রাভেল এজেন্সিকে আরও ২০ ডলারের মতো দিতে হয়। তাই যাত্রীদের ছাড় দিয়েও বিমানের অনেক লাভ থাকবে। হিসাব করে দেখা গেছে,  মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে যদি ৫ শতাংশ যাত্রীও টিকিট কাটেন তাতে বিমানের ৫ কোটি টাকা লাভ হবে। এতে যাত্রী এবং বিমান উভয়ই লাভবান হবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস’ বিমানের অফিশিয়াল অ্যাপস। এই অ্যাপস ব্যবহার করে যাত্রী নিজের মোবাইল থেকেই কিনতে পারবেন বিমানের সব গন্তব্যের টিকিট। মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন বিকাশ, রকেট কিংবা যে কোনো কার্ডের মাধ্যমে। গুগল প্লে স্টোর কিংবা অ্যাপল অ্যাপস স্টোর থেকে যে কোনো স্মার্টফোনে অ্যাপসটি ডাউনলোড করলে বিমানের ফ্লাইট সংক্রান্ত সব তথ্য পাওয়া যাবে। যাত্রীদের অ্যাপসটি ডাউনলোড করে নিজস্ব প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এরপর সরাসরি ওয়ানওয়ে, রাউন্ডট্রিপ টিকিট, বুকিংয়ের পর টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা, রিজার্ভেশন স্ট্যাটাস চেকিংয়ের সুবিধা রয়েছে। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইনস বাংলাদেশ বিমানে টিকিট কিনতে গিয়ে প্রায়ই শোনা যায় টিকিট শেষ। অথচ খালি আসন নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে বিমান। ট্রাভেল এজেন্টদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র কৃত্তিম সংকট তৈরি করে। বিক্রি না হলেও শুধু এই বুকিংয়ের জন্য জিডিএস কোম্পানিগুলোকে কমিশন দিতে হয় বিমানকে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষ তদন্তে বিমানকে বুকিং ফাঁদে ফেলার প্রমাণ মিলেছে। তদন্তের পর ওই আট প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করেছে মন্ত্রণালয়। এসব এজেন্ট পাঁচ বছর ধরে এভাবে টিকিট বুকিং ও বাতিল করে আসছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর