একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ প্রতিবাদে আগামী ২৯ ডিসেম্বর বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। রবিবার বেলা ২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বিকালে রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। জোটের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে তার চেম্বারে অনুষ্ঠিত এ বৈঠক শেষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মোহসিন রশীদ, বিকল্প ধারার একাংশের সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, নাগরিক ঐক্যের শহিদুল্লাহ কায়সার, জেএসডির সিরাজুল ইসলাম, বিকল্প ধারার মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করতে নিজেদের ঐক্য সুসংহত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমাদের ঐক্যকে সুসংহত করে আমাদের ভোটাধিকার আদায় করতে হবে। নির্বাচনকে অর্থপূর্ণ করতে হবে। ড. কামাল আরও বলেন, ঐক্যকে আরও সুসংহত করে ভোটাধিকারকে পুরোপুরিভাবে যাতে আমরা ভোগ করতে পারি, জনগণ ক্ষমতার মালিক হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারি। এই ঐক্যের ভিত্তিতে আমরা সকলে দাঁড়াব, আপসহীনভাবে এটাকে (ঐক্য) ধরে রাখব। পরে কর্মসূচি ঘোষণা শেষে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, সংগ্রাম সংগ্রাম সংগ্রাম চলবে চলবে। ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে ভোট ডাকাতি হয়েছে সেই ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে আগামী ২৯ ডিসেম্বর বেলা ২টায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিক্ষোভ সমাবেশ করবে।
এটাই আজকের সভার সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, এ কর্মসূচিতে যদি বাধা দেওয়া হয় তাহলে এ বিক্ষোভ চলতে থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো না যায়। নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ৩০ ডিসেম্বর, আপনারা কেন ২৯ তারিখ কর্মসূচি দিলেন জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ওই দিনের ভোট ডাকাতিটা হয়েছিল ২৯ ডিসেম্বর রাতে। সে জন্য আমরা এ কর্মসূচি দিয়েছি। কোনো বাধা দিলে আরও দুই দিন আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখব।