সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নাটকীয় ঘোষণা আওয়ামী লীগে

এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করে খোকনের সমর্থন চান তাপস, স্বস্তি প্রকাশ করলেন আতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

নাটকীয় ঘোষণা আওয়ামী লীগে

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গে গতকাল ধানমন্ডি কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে সিটি ভোটের হাওয়া শুরুর পর থেকেই আওয়ামী লীগের ভিতরে-বাইরে আলোচনা ছিল পুরনোদের ওপর আস্থা রাখছে দলের হাইকমান্ড। গত বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে আলোচনায় আসেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বৃহস্পতিবার দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। ওইদিন রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। পরে তার ব্যক্তিগত সহকারী হাবিবুল ইসলাম সুমন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সাঈদ খোকনকে নির্বাচনী কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’। নানামুখী আলোচনা থাকলেও সবার ধারণা ছিল দক্ষিণে সাঈদ খোকনই হবেন নৌকার কান্ডারি। গত শনিবার দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হলেও তা গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি। গতকাল অনেকটা নাটকীয়ভাবেই প্রার্থী ঘোষণা করা হলো আওয়ামী লীগের। এতে মেয়র পদে উত্তরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম। আর দক্ষিণে বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকনের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা-১০ আসনের সদ্য পদত্যাগী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। দুপুরে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে মেয়রসহ দুই সিটির ১২৯ কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলীয় সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের বিবেচনার বিষয়গুলো তুলে ধরে বলেন, জনগণের কাছে প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। কোন প্রার্থী নির্বাচনে জেতার উপযোগী, সেটি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।    

জানা গেছে, শেখ পরিবারের সন্তানের পরিচয় ছাপিয়েও তাপসের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে তার নির্বাচনী এলাকায়। তরুণ এই রাজনীতিকের জনপ্রিয়তার উত্তাপ গিয়ে লাগছে পাশের এলাকা পুরান ঢাকাসহ দক্ষিণ সিটির অন্যান্য এলাকায়। কদিন আগে আওয়ামী লীগের উচ্চমহলে আলাপে জানা গিয়েছিল, বিশেষ করে পুরান ঢাকায় গ্রহণযোগ্যতা পাবেন এমন যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে হয়তো সাঈদ খোকনকেই আবার বেছে নেবে দল। শেখ ফজলে নূর তাপস আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণির ছোট ছেলে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারসহ আরও যাদের হত্যা করেছিল ঘাতকরা, তাদের মধ্যে শেখ ফজলে নূর তাপসের বাবা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার মা আরজু মণিও ছিলেন। তখন তাপসের বয়স ছিল ৪ বছর। আর বড় ভাই শেখ ফজলে শামস পরশের বয়স ছিল ছয় বছর। 

এদিকে দুপুরে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার সময় দুই প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। মেয়র পদে নাম ঘোষণা করে তাদের পরিচয় করিয়ে দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় দুই প্রার্থী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। দক্ষিণের মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর শেখ ফজলে নূর তাপস দলের ঐক্য আর বর্তমান মেয়র মো. সাঈদ খোকনের সমর্থন চেয়েছেন। আর উত্তরের মেয়র পদে পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া আতিকুল ইসলাম দলের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও স্বস্তি প্রকাশের পাশাপাশি ভোটারদের সহযোগিতা চেয়েছেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তাপস এই মনোনয়নের জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা সবাই এ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন- এমন আশা প্রকাশ করে তাপস বলেন, আমি আশা করি, আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠন এবং আওয়ামী লীগের সবাই আমার জন্য কাজ করে যাবেন। সাঈদ খোকনের সমর্থন প্রত্যাশা করেন কিনা- এ প্রশ্নে তাপস বলেন, আশা করি তিনি আমাকে সমর্থন করবেন। নির্বাচিত হলে কী করবেন জানতে চাইলে তাপস বলেন, জনগণ যদি আমাকে নির্বাচিত করে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আপামর জনগণের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আমার পূর্ণ সময় আমি কাজ করে যাব। তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণের জনগণ যদি আমাকে নির্বাচিত করে, তাহলে বৃহৎ পরিসরে, ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে পুরান ঢাকার অধিবাসীদের দীর্ঘদিনের অবহেলা ঘুচাব। তাদের একটি উন্নত রাজধানী, যেখানে সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে, আমি সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আতিকুল ইসলাম বলেন, উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নয় মাসে একটি দিনও সময় নষ্ট করিনি। উত্তরের ভোটারদের সহায়তা চেয়ে বর্তমান মেয়র বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে একটা সুন্দর ঢাকা শহর গড়ে তুলি। আমরা জানি আমাদের কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে একসঙ্গে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে গতকাল দুপুরে পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে শেখ ফজলে নূর তাপস স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তা গ্রহণ করা হয়েছে। যে কোনো সময় তার আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হবে। সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, সংসদ সদস্যকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিতে হলে সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দুই সিটিতেই সব কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দুই প্রার্থীর নাম ঘোষণা ছাড়াও মোট ১২৯ কাউন্সিলর পদে সমর্থন দিয়েছে দলটি। মনোনয়ন পাওয়া এসব প্রার্থীর বেশির ভাগই বর্তমান কাউন্সিলর। কিছু বিতর্কিত ব্যক্তিও কাউন্সিলর পদে সমর্থন পেয়েছে আওয়ামী লীগের। কারও কারও বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকা-, চাঁদাবাজি, সিটি করপোরেশনে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। পুরনোদের আধিক্য থাকলেও নতুন মুখ ৫৭ জন। এ ছাড়া বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরাও নতুন করে মনোনয়ন পেয়েছেন। বাদ গেছেন বিতর্কিত অনেক বর্তমান কাউন্সিলর। 

ঢাকা উত্তরের ৫৪ ওয়ার্ডে যারা মনোনয়ন পেলেন : ওয়ার্ড নং-১ আফছার উদ্দিন খান, ওয়ার্ড-২ কদম আলী মাদবর, ওয়ার্ড-৩ জিন্নাত আলী মাতব্বর, ওয়ার্ড-৪ জামাল মোস্তফা, ওয়ার্ড-৫ আবদুর রউফ নান্নু, ওয়ার্ড-৬ সালাউদ্দিন রবিন, ওয়ার্ড-৭ তোফাজ্জল হোসেন, ওয়ার্ড-৮ আবুল কাশেম মোল্লা, ওয়ার্ড-৯ মুজিব সারোয়ার মাসুম, ওয়ার্ড-১০ আবু তাহের, ওয়ার্ড-১১ দেওয়ান আবদুল মান্নান, ওয়ার্ড-১২ মুরাদ হোসেন, ওয়ার্ড-১৩ হারুন-অর-রশিদ, ওয়ার্ড-১৪ মো. মইজদ্দীন, ওয়ার্ড-১৫ সাদেক মোল্লা, ওয়ার্ড-১৬ মতিউর রহমান, ওয়ার্ড-১৭ ইসহাক মিয়া, ওয়ার্ড-১৮ জাকির হোসেন, ওয়ার্ড-১৯ মফিজুর রহমান, ওয়ার্ড-২০ জাহিদুর রহমান, ওয়ার্ড-২১ মাসুম গণি, ওয়ার্ড-২২ লিয়াকত আলি, ওয়ার্ড-২৩ সাখাওয়াত হোসেন, ওয়ার্ড-২৪ শফিউল্লাহ, ওয়ার্ড-২৫ আবদুল্লাহ আল মঞ্জুর, ওয়ার্ড-২৬ শামীম হাসান, ওয়ার্ড-২৭ ফরিদুর রহমান খান, ওয়ার্ড-২৮ ফোরকান হোসেন, ওয়ার্ড-২৯ নুরুল ইসলাম রতন, ওয়ার্ড-৩০ আবুল হাসেম হাসু, ওয়ার্ড-৩১ আলিয়া সারোয়ার ডেইজি, ওয়ার্ড-৩২ সৈয়দ হাসান নুর ইসলাম, ওয়ার্ড-৩৩ আসিফ আহমেদ, ওয়ার্ড-৩৪ শেখ মোহাম্মদ হোসেন, ওয়ার্ড-৩৫ মোক্তার সরদার, ওয়ার্ড-৩৬ তৈমুর রেজা খোকন, ওয়ার্ড-৩৭ জাহাঙ্গীর আলম, ওয়ার্ড-৩৮ শেখ সেলিম, ওয়ার্ড-৩৯ শফিকুল ইসলাম, ওয়ার্ড-৪০ নজরুল ইসলাম ঢালী, ওয়ার্ড-৪১ আবদুল মতিন, ওয়ার্ড-৪২ জাহাঙ্গীর আলম, ওয়ার্ড-৪৩ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, ওয়ার্ড-৪৪ শফিকুল (শফিক), ওয়ার্ড-৪৫ জয়নাল আবেদীন, ওয়ার্ড-৫৬ সাইদুর রহমান সরকার, ওয়ার্ড-৪৭ মোতালেব মিয়া, ওয়ার্ড-৪৮ এ কে এম মাসুদুজ্জামান, ওয়ার্ড-৪৯ শফিউদ্দিন মোল্লা, ওয়ার্ড-৫০ ডি এম শামীম, ওয়ার্ড-৫১ মো. শরিফুর রহমান, ওয়ার্ড-৫২ ফরিদ আহমেদ, ওয়ার্ড ৫৩-নাসির উদ্দিন, ওয়ার্ড-৫৪ জাহাঙ্গীর হোসেন।

ঢাকা দক্ষিণে ৭৫টি ওয়ার্ডে যারা মনোনয়ন পেলেন : ওয়ার্ড-১ মাহবুবুল আলম, ওয়ার্ড-২ আনিসুর রহমান আনিস, ওয়ার্ড-৩ মাকসুদ হোসেন, ওয়ার্ড ৪-জাহাঙ্গীর হোসেন, ওয়ার্ড-৫ আশরাফুজ্জামান ফরিদ, ওয়ার্ড-৬ সিরাজুল ইসলাম ভাট্টি, ওয়ার্ড-৭ আবদুল বাসিত খান বাচ্চু, ওয়ার্ড-৮ ইসমাইল জবিউল্লাহ, ওয়ার্ড-৯ মোজাম্মেল হক, ওয়ার্ড-১০ মারুফ আহমেদ মনসুর, ওয়ার্ড-১১ হামিদুল হক শামীম, ওয়ার্ড-১২ মামুনুর রশিদ শুভ্র, ওয়ার্ড-১৩ এনামুল হক, ওয়ার্ড-১৪ ইলিয়াছুর রহমান, ওয়ার্ড-১৫ রফিকুল ইসলাম বাবলা, ওয়ার্ড-১৬ নজরুল ইসলাম, ওয়ার্ড-১৭ মাহবুবুর রহমান, ওয়ার্ড-১৮ ফেরদৌস আলম, ওয়ার্ড-১৯ আবুল বাশার, ওয়ার্ড-২০ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন, ওয়ার্ড-২১ আসাদুজ্জামান, ওয়ার্ড-২২ জিন্নাত আলী, ওয়ার্ড-২৩ মকবুল হোসেন, ওয়ার্ড-২৪ মোকাদ্দের হোসেন জাহিদ, ওয়ার্ড-২৫ আনোয়ার ইকবাল, ওয়ার্ড-২৬ হাসিবুর রহমান মানিক, ওয়ার্ড-২৭ ওমর বিন আবদুল আজিজ, ওয়ার্ড-২৮ মো. সালেহীন, ওয়ার্ড-২৯ জাহাঙ্গীর আলম বাবুল, ওয়ার্ড-৩০ মোহাম্মদ হাসান, ওয়ার্ড-৩১ শেখ মোহাম্মদ আলমগীর, ওয়ার্ড-৩২ আবদুল মান্নান, ওয়ার্ড-৩৩ ইলিয়াস রশিদ, ওয়ার্ড-৩৪ মীর সমীর, ওয়ার্ড-৩৫ আবু সাঈদ, ওয়ার্ড-৩৬ রঞ্জন বিশ্বাস, ওয়ার্ড-৩৭ আবদুর রহমান মিয়াজী, ওয়ার্ড-৩৮ আহমেদ ইমতিয়াজ মন্নাফি, ওয়ার্ড-৩৯ রোকন উদ্দিন আহমেদ, ওয়ার্ড-৪০ আবুল কালাম আজাদ, ওয়ার্ড-৪১ সারোয়ার হাসান আলো, ওয়ার্ড-৪২ মো. সেলিম, ওয়ার্ড-৪৩ মো. আরিফ হোসেন, ওয়ার্ড-৪৪ নিজাম উদ্দিন, ওয়ার্ড-৪৫ হেলেন আক্তার, ওয়ার্ড-৪৬ শহিদুল্লাহ, ওয়ার্ড-৪৭ নাসির আহমেদ ভূঁইয়া, ওয়ার্ড-৪৮ আবুল কালাম, ওয়ার্ড-৪৯ আবুল কালাম আজাদ, ওয়ার্ড-৫০ মাসুম মোল্লা, ওয়ার্ড-৫১ কাজী হাবিবুর রহমান হাবু, ওয়ার্ড-৫২ মোহাম্মদ নাছিম মিয়া, ওয়ার্ড-৫৩ নূর হোসেন, ওয়ার্ড-৫৪ মো. মাসুম, ওয়ার্ড-৫৫ নূরে আলম, ওয়ার্ড-৫৬ মোহাম্মদ হোসেন, ওয়ার্ড-৫৭ সাইদুল ইসলাম, ওয়ার্ড-৫৮ শফিকুর রহমান, ওয়ার্ড-৫৯ আকাশ কুমার ভৌমিক, ওয়ার্ড-৬০ লুৎফর রহমান রতন, ওয়ার্ড-৬১ শাহে আলম, ওয়ার্ড-৬২ মোস্তাক আহমেদ, ওয়ার্ড-৬৩ শফিকুল ইসলাম খান, ওয়ার্ড-৬৪ মাসুদুর রহমান মোল্লা, ওয়ার্ড-৬৫ শামসুদ্দিন ভূঁইয়া, ওয়ার্ড-৬৬ হানিফ তালুকদার, ওয়ার্ড-৬৭ ফিরোজ আলম, ওয়ার্ড-৬৮ মাহমুদুল হাসান, ওয়ার্ড-৬৯ সাইদুর রহমান হাসু, ওয়ার্ড-৭০ আতিকুর রহমান, ওয়ার্ড-৭১ খাইরুজ্জামান, ওয়ার্ড-৭২ শফিকুল ইসলাম শামিম, ওয়ার্ড-৭৩ শফিকুল ইসলাম, ওয়ার্ড-৭৪ ফজর আলী এবং ওয়ার্ড-৭৫ সৈয়দ মো. তোফাজ্জল হোসেন।

সংরক্ষিত ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা : গতকাল রাতে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ওয়ার্ডে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন, ওয়ার্ড নং-০১, ১৭, ১৮ হাছিনা বারী চৌধুরী, ওয়ার্ড নং-০২, ০৩, ০৫ সালমা কালাম, ওয়ার্ড নং- ৪, ১৫ ও ১৬, সাহিদা আক্তার শীলা, ওয়ার্ড নং-৬, ৭, ৮ শিখা চক্রবর্তী, ওয়ার্ড নং-৯, ১০ ও ১১ রাজিয়া সুলতানা, ওয়ার্ড নং-১২, ১৩ ও ১৪, সামসুন নাহার, ওয়ার্ড নং-১৯, ২০, ২১ আমেনা বেগম (রানু), ওয়ার্ড নং-২২, ২৩, ৩৬ মিতু আক্তার, ওয়ার্ড নং-২৪, ২৫ ও ৩৫, নাজমুন নাহার হেলেন, ওয়ার্ড নং-২৬, ২৭ ও ২৮, হামিদা আক্তার মিতা, ওয়ার্ড নং-২৯, ৩০ ও ৩২ শাহিন আক্তার সাথী, ওয়ার্ড নং-৩১, ৩৩ ও ৩৪ রোকসানা আলম, ওয়ার্ড নং-৩৮, ৩৯ ও ৪০ মাহমুদা বেগম, ওয়ার্ড নং-৩৭, ৪১ ও ৪২ কামরুন নাহার, ওয়ার্ড নং-৪৩, ৪৪ ও ৪৫, সোনিয়া সুলতানা হেনা, ওয়ার্ড নং-৪৬, ৪৭, ৪৮ মিনারা সুলতানা, ওয়ার্ড নং-৪৯, ৫০ ও ৫১ আবেদা আক্তার, ওয়ার্ড নং-৫২, ৫৩, ৫৪ কমলা রানী মুক্তা। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সংরক্ষিত ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন- ওয়ার্ড নং-২, ৩ ও ৪ ফারজানা ইসলাম বিপ্লবী, ওয়ার্ড নং-৫, ৬ ও ৭ মাকসুদা শমশের, ওয়ার্ড নং-৮, ৯ ও ১০ মিনু রহমান, ওয়ার্ড নং-০১, ১১ ও ১২ ফারাহানা ইসলাম ডলি, ওয়ার্ড নং- ১৩, ১৯ ও ২০ সৈয়দা রোখসানা ইসলাম চামেলী, ওয়ার্ড নং-১৬, ১৭ ও ২১ নারগিস মাহতাব, ওয়ার্ড নং-১৪, ১৫ ও ১৮ শিরিন গাফফার, ওয়ার্ড নং-২২, ২৩ ও ২৬ নিলুফার রহমান, ওয়ার্ড নং-২৪, ২৫ ও ২৯ সাবিনা পারভীন, ওয়ার্ড নং-২৭, ২৮ ও ৩০ মোসাঃ সেলিমা বেগম, ওয়ার্ড নং-৩১, ৩২ ও ৩৩ লুনা হুমায়ন পারভীন, ওয়ার্ড নং-৩৫, ৩৬ ও ৩৭ শেফালী রানী মল্লিক, ওয়ার্ড নং-৩৪, ৩৮ ও ৪১ শাহিনুর বেগম, ওয়ার্ড নং-৩৯, ৪০ ও ৪৯ লাভলী চৌধুরী, ওয়ার্ড নং-৪৮, ৫০ ও ৫১ নাজমা বেগম, ওয়ার্ড নং-৪২, ৪৩ ও ৪৪ নাসিমা আহমেদ, ওয়ার্ড নং- ৪৫, ৪৬ ও ৪৭ সাথী আক্তার, ওয়ার্ড নং-৫২, ৫৩ ও ৫৪ জোহুরা, ওয়ার্ড নং-৫৫, ৫৬ ও ৫৭ শেফালি আক্তার, ওয়ার্ড নং-৫৮, ৫৯ ও ৬০ মোসাঃ সাহিদা বেগম, ওয়ার্ড নং-৬১, ৬২ ও ৬৩ ফারহানা ইয়াসমিন কুয়াশা, ওয়ার্ড নং-৬৪, ৬৫ ও ৬৬ মনিরা চৌধুরী, ওয়ার্ড নং-৬৭, ৬৮ ও ৬৯ শাহনাজ বেগম, ওয়ার্ড নং-৭০, ৭১ ও ৭২ সেলিনা খান, ওয়ার্ড নং-৭৩, ৭৪ ও ৭৫ নাছরিন আহমেদকে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

সর্বশেষ খবর